পশ্চিম থানার পুলিশের বড় সাফল্য:
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধিঃ দিনের পর দিন শহরে বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরির ঘটনা। কোথাও নিশিকুটুম্বের দল রাতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তো কোথাও আবার দিনের আলোতেই চুরি সংঘটিত করছে চোরের দল।
বর্তমানে বিগত কিছুদিন যাবত প্রায় প্রতিদিনই বাইক চুরির ঘটনা উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমে। এই চুরির ঘটনায় অতিষ্ঠ শহরবাসী।
বুধবার চুরি যাওয়া তিনটি বাইক ও একটি স্কুটি উদ্ধার করল সদর এসডিপিও অজয় কুমার দাস সহ আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে সদর এসডিপিও জানান, গত বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রায় প্রতিনিয়ত বাইক চুরির ঘটনা ঘটছিল। সেই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি চুরি যাওয়া বেশ কয়েকটি বাইকও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার আটককৃত টোটন দাস নামে এক বাইক চোরকে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। পরবর্তী সময়ে ওই চোরকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি বাইক ও একটি স্কুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বাইক চোর টোটন দাস কে নিয়ে পুলিশ প্রথমে যায় আগরতলা রেল স্টেশনে। সেখান থেকে দুটি বাইক একটি স্কুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বেলতলী রাস্তার পাশে আরও একটি বাইক উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ।
তিনি আরও জানান, বাইক চোর টোটন দাসকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। এধরনের চুরি যাওয়া বাকি বাইকগুলো উদ্ধারেও চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ এবং অতিসত্বর সেই বাইকগুলোকেও উদ্ধার করা হবে। পাশাপাশি এই চুরিকাণ্ডের যে মাস্টারমাইন্ড রয়েছে তাকেও খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, মূলত এই চোরগুলো নিজেদের নেশার খরচ চালানোর জন্যই চুরি করে থাকে। ফলে এই নেশা ও চুরির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে, তবেই এই চুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
এদিকে, গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে চুরি হওয়া ও হারিয়ে যাওয়া মোট ১৫ টি মোবাইল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ। একইদিনে অর্থাৎ বুধবার উদ্ধারকৃত মোবাইল গুলো তুলে দেওয়া হয় মোবাইলের প্রকৃত মালিকের হাতে।
উল্লেখ্য, গত কিছুদিন পূর্বেও এরকম চুরি যাওয়া ও হারিয়ে যাওয়া মোট ১৪ টি মোবাইল উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয়েছিল মোবাইলগুলোর প্রকৃত মালিকের হাতে। নিজেদের মোবাইল ফিরে পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের এই সক্রিয় ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকেই।