বৃহস্পতিবার সাতসকালে পাইপলাইন গ্যাস নিয়ে আতঙ্ক দেখা দেয় শহরবাসীর মধ্যে । সরকারী আবাস সহ সাধারণ বাড়িঘরে তৈরি হয় শঙ্কার পরিবেশ । এদিন সকালে গ্যসের চুল্লি জ্বালাতে গিয়ে অভাবিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় শহরবাসী , বিশেষত মহিলাদের। কারণ পাইপলাইন গ্যাসের চুল্লি জ্বালাতে গিয়ে দেখা যায় তুলনায় বিকট শব্দে সোঁ সোঁ আওয়াজ করছে চুল্লিতে । অথচ চুল্লিতে কিছুতেই আগুন ধরছে না । বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই পাইপলাইন এর ফলে গ্যাস ভোক্তাদের মধ্যে দেখা দেয় শঙ্কা এবং আতঙ্ক । শুরু হয় এ নিয়ে পরিচিত মহলে খোঁজখবর করা । চলতে থাকে ফোনাফোনি । শহরে উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তে প্রায় একই পরিস্থিতি চলতে থাকে । আর এ নিয়ে পরিচিত মহলে খোঁজখবর করার ফলে নতুন করে সংশয় তৈরি হয় । দেখা দেয় ধোঁয়াশা । কারণ যে যার মতো করে উদ্ভুত সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞ গোছের মতামত দেওয়া শুরু হয় । আসলে সমস্যার মূলে রয়েছে অন্য কারণ । ত্রিপুরা প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড তথা টিএনজিসিএল ও গেইল বুধবার রাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে তবে তা করেছে পাইপলাইন গ্যাস ভোক্তা সহ সাধারণ মানুষকে সতর্ক না করে ।
তাতেই যাবতীয় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে । বর্তমানে আগরতলা শহরে পঞ্চান্ন হাজারের বেশি পাইপলাইন গ্যাস ভোক্তা রয়েছে । সেই সঙ্গে আগরতলা সহ প্রায় ষোলটি সিএনজি স্টেশন রয়েছে । ফলে ভোক্তাদের চাহিদা মতো গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না কয়েক বছর ধরে । গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় শহরের বিভিন্ন অংশে দিনের বিভিন্ন সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে । বাস্তবে শহরের মধ্যাংশের আরএমএস চৌমুহনী , পোস্ট অফিস চৌমুহনী ও সংলগ্ন এলাকা সহ কৃষ্ণনগরের একাংশ , জয়নগরের কিছু এলাকা , দক্ষিণ রামনগর ও বেলতলি সহ বিভিন্ন এলাকায় এই সমস্যা প্রকট হয়ে উঠতে থাকে । দেখা যায় সকাল প্রায় সাতটা থেকে বেলা প্রায় এগারোটা পর্যন্ত পাইপলাইনে গ্যাস আসছে না উল্লিখিত এলাকায় । আসলে ১৯৯০ সালে আগরতলায় পাইপলাইন গ্যাস সংযোগ শুরু হয় । তখন ৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপে গেইলের উদ্যোগে গ্যাস পরিবহণ শুরু হয় । তারপর ধাপে ধাপে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপকভাবে । তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্যাস পরিবহণের বিকল্প উপায় সৃষ্টি করা হয়নি । ফলে পাইপে গ্যাসের চাপ কমতে থাকে । চাহিদা মতো গ্যাস না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে ভোক্তাদের মধ্যে । এই সমস্যা নিরসনে এক সময় উদ্যোগ নেয় গেইল । গ্যাস পরিবহণের জন্য ৪ ইঞ্চির বদলে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসানো হয়। সম্প্রতি এই কাজ শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ হলেও সুরক্ষাজনিত কারণে নয়া পাইপে গ্যাস পরিবহণ শুরু করা যায়নি । কেননা এ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেসো এর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়নি । অবশেষে যাবতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেয় পেসো । বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ পেসোর পুনেস্থিত কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত সবুজসঙ্কেত আসে গেইলের আগরতলাস্থিত কার্যালয়ে । এর ভিত্তিতে রাত বারোটায় গেইল পুরনো ৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপের বদলে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপে গ্যাস পরিবহণের উদ্যোগ নেয় । প্রাপ্ত খবর অনুসারে বুধবার ভোরের দিকে এই কাজ শেষ হয় । তারপর বৃহস্পতিবার সকালে গ্যাসের চুল্লি জ্বালাতে গেলেই উল্লিখিত সমস্যা হয় । গেইল ও টিএনজিসিএলের তরফে সমস্যা সৃষ্টির পর এ নিয়ে স্পষ্টীকরণ দেওয়া হয় । টিএনজিসিএলের অর্থ বিষয়ক অধিকর্তা বনানী দেববর্মণ ও গেইলের এক আধিকারিক প্রতিবেদককে জানান উদ্ভূত সমস্যার কারণ । বলেন গ্যাস পরিবহণের জন্য পাইপলাইন বসানোর পর তা খালি রাখা যায় না । তাতে নাইট্রোজেন গ্যাস সমৃদ্ধ বাতাস ভরে রাখতে হয় । আর বৃহস্পতিবার গ্যাসের চুল্লি জ্বালাতে গেলে শুরুতে আওয়াজ করে এই বাতাস বের হয়েছে । তার মিনিট খানেক পরে গ্যাস জ্বলেছে বলে জানান তারা । তবে এ নিয়ে ভোক্তাদের আগাম কেন সতর্ক করা হয়নি তা অবশ্য জানা যায়নি ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের লাইনচ্যুত ট্রেন। ছিটকে গেছে তিনটি কামড়া। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিতলাগড় স্টেশনের কাছে।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রথম সংক্রমণের ৫ বছরের রেষ কাটতে না কাটতেই নতুন করে চিনে খোঁজ মিলেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ৫ আগস্ট হাসিনা জামানার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। তবে…
শুক্রবার মরিশাসের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আসন্ন ন্যাশনাল ডে বা জাতীয় দিবসের উদযাপনে প্রধান অতিথি…
কোনও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই বিধেয়। কারণ…
অনলাইন প্রতিনিধি:- নারী নির্যাতন কিংবা মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি…