পাক হিন্দু মেয়ের ডিএসপি পদ নিয়ে প্রচার
পাকিস্তানে একটি হিন্দু মেয়ের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডিএসপি পদ অর্জন নিয়ে অনেক প্রচার হচ্ছে । পঁচাত্তর বছর আগে অখণ্ড ভারত ভেঙে জিন্নাহ রক্তপাত ও নরনারী হত্যার দ্বারা পাকিস্তান নামে যে রাষ্ট্র বানান , তা এখন প্রথম হিন্দু ডিএসপি মহিলা পেল , যার নাম মনীষা রোপেতা ( ২৬ ) । মেধা তালিকায় ১৬ তম অবস্থানে আছে সে । তার বাড়ি সিন্ধু প্রদেশের জেকোবাবাদে । ১৩ বছর যখন , তার পিতার মৃত্যু হয় । সে করাচিতে থেকে স্নাতক হয় । এরপর ডিএসপি পদে পরীক্ষায় সাফল্য । পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার মাত্র দেড় শতাংশ হিন্দু । তারা পাকিস্তানের প্রাচীনতম জনগোষ্ঠী ।
কিন্তু ইসলামিক রাষ্ট্রে তাদের মর্যাদা নেই । কারণ তারা রাষ্ট্রধর্মের অনুসারী নয় । কাফের তথা বিধর্মী বলে আখ্যায়িত । দুই বছর আগে নম্রিতা চান্দানি নামের এক হিন্দু ছাত্রী চিকিৎসাবিদ্যার শেষ বর্ষের ছাত্রী কলেজের হোস্টেলেই খুন হয় । মেহরান আরো এবং আলি শাহ নামের দুই মুসলিম ছাত্র ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় । যারা নম্রিতার সহপাঠী ছিল । কলেজ কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় ।
এদিকে দেশটিতে হিন্দু মেয়ের ডিএসপি হওয়া হিন্দু মেয়েদের সিন্ধু প্রদেশে অপহরণ থেকে রক্ষায় কতটা ভূমিকা নেবে , তা সময়ই বলতে পারে । প্রতি বছর পাকিস্তানে অন্তত এক হাজার ধর্মীয় সংখ্যালঘু মেয়ে অপহৃত হয় মুসলিমদের দ্বারা । অপহৃতদের বৃহদংশই সিন্ধু প্রদেশের । তিন বছর আগে পুষ্পা কোহলি নামে সিন্ধু প্রদেশের এক মেয়ে পুলিশ বিভাগে এএসআই হয়েছিল । তুমুল প্রচারে এসেছিল তা । ভারতে তেত্রিশ বছর আগেই সর্বোচ্চ আদালতে মুসলিম মহিলা বিচারপতি হয়েছিল ।