বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
পারদের ওঠানামায় শীতের ছোঁয়া রাজ্যে।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-এই গরম তো এই ঠাণ্ডা।আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় মাঘের শেষদিকে এবং ফাল্গুনের শুরুতে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা এবং হাল্কা জ্বর। প্রতি বছরই শীত যাবার সময় এই ধরনের আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু এ বছর যেন কিছুটা আগে থেকেই এই ধরনের আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিমত তাই-ই। গত এক সপ্তাহের আবহাওয়ার অবস্থা যদি পর্যালোচনা করা হয় তবে দেখা যাবে গত সাতদিনের মধ্যে সর্বনিম্ন পারদ একেবারে যেমন ২১° সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছে গেছিল আবার তেমনি পারদ নেমে ১২/১৩০ সেলসিয়াসে চলে এসেছে। যার ফলে খানিকটা সময় ফ্যান চালাতে হচ্ছে আবার ফ্যান চালিয়েও বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভোর বেলা, সকাল এমনকি রাতে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। বাইক, স্কুটার চালালে তো কথাই নেই। এই অবস্থায় ঠাণ্ডা-গরমজনিত অসুখ যেমন জ্বর, সর্দি, গলাব্যাথা, খুসখুসে কাশি, হাঁচি লেগেই রয়েছে। অনেকে আবার ঠাণ্ডাকে অবহেলা করে এই অসুখগুলিকে ডেকে আনছে। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্য অনুযায়ী, গত কয়দিন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ছিল।ফলে আকাশে মেঘ ছিল। ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গেছিল হঠাৎ করে। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গেছে। ফলে আচমকা উত্তরে হাওয়ার অনুভূতি চলছে। ফলে সকাল, সন্ধা, রাতে শীতের অনুভূতি হচ্ছে।আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত দশ ফেব্রুয়ারী সবনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২°সেলসিয়াস, এগারো ফেব্রুয়ারী তা বেড়ে হয়েছে ১৪.৫° সেলসিয়াস, বারো তারিখ তা আচমকা বেড়ে গেছে অনেকটা।বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.৪° সেলসিয়াস।তেরো তারিখ তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৪° সেলসিয়াস। চৌদ্দ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসার দিনে সর্বনিম্ন পারদ ছিল ১৬.৫° সেলসিয়াস,পনেরো ফেব্রুয়ারী পারদ ফের নেমে দাঁড়িয়েছে ১২.৮° সেলসিয়াস, রবিবার ষোল ফেব্রুয়ারী সর্বনিম্ন পারদ ছিল ১৩.৮° সেলসিয়াস। এর অর্থ শীতের রেশ এখনও রয়েছে রাজ্যে।শীত পালিয়ে যায়নি।বিদায়ও নেয়নি। সুতরাং শীতকে অবহেলা নয়, বরং শীত আরও কয়েকদিন স্থায়ী হবে এটা বলা যায়।