মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!
পার্টির নাম করে অনৈতিক কাজ বরদাস্ত নয়, হুঁশিয়ারি বিপ্লবের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-নাম না করে রাজধানীর ঊষাবাজার এলাকায় নিগো বাণিজ্য এবং সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিম আসনের বিজেপি প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।নাম না করে ঊষাবাজার এলাকার একটি প্রভাবশালী ক্লাবের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
সোমবার চার বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লঙ্কামুড়া কমিউনিটি হলে উক্ত বিধানসভার দলীয় কার্যকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে শ্রীদেব এই হুঁশিয়ারি দেন। বৈঠকে অংশ নিয়ে শ্রীদেব তার ভাষণে বলেন, দল এবং সংগঠন হচ্ছে সবার উপরে।কিন্তু দলের কতিপয় কার্যকর্তাদের কাজকর্মে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, তারা দলের এবং সংগঠনের কাজকর্মকে অবহেলা করে প্রভাবশালী ক্লাবের পদ দখল করার জন্য মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এমনও দেখা গেছে, পার্টির সাথে যুক্ত নয়, তারাও পার্টির নাম করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পার্টির নাম করে নিগো বাণিজ্য সহ নানা সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হচ্ছে।এমন কী পার্টি কর্মীদের মারধর করছে। এমন বহু অভিযোগ এসেছে। পার্টির সাথে কোনওভাবেই যুক্ত নয়, এমন কিছু লোক পার্টির নাম করে নানা অসামাজিক কাজ করে যাচ্ছে।এইসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শ্রীদেব হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যারাই এসবের সাথে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।শ্রীদেব স্পষ্টভাবে বলেন, পার্টির নাম করে এসব অনৈতিক কাজ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।
এদিন বিপ্লব দেব সাংগঠনিক বৈঠকে নাম না করে আরও বলেন,
বাম জমানায় ঊষাবাজার এলাকায় একজন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতো।২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে কোনও অবস্থাতেই এসবকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। তিনি দলীয় কার্যকর্তাদের এই ব্যাপারে সতর্ক করে দেন।
এদিন সাংগঠনিক বৈঠকে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রতন ঘোষ, বড়জলা মণ্ডল সভাপতি মুকুল রায় সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা।বৈঠকে শ্রীদেব দলের প্রতিটি কার্যকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা নিয়ে সকলের ঘরে ঘরে যাওয়ার নিদান দেন।এতে রাজনৈতিক রং বিচার করলে হবে না।সকল মানুষকে কাছে টানার আহ্বান জানান। একইভাবে এদিন বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রেও দলের সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নেন প্রার্থী শ্রীদেব।
দুই কেন্দ্রেই দীর্ঘদিন পর বিপ্লব দেবকে ঘিরে দলের কর্মী ও কার্যকর্তাদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। এদিন দুটি সভাতেই শ্রীদেব লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল এবং দলকে কীভাবে মজবুত করা যায় ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।প্রধানমন্ত্রী মোদির বিভিন্ন উদ্যোগগুলি তুলে ধরেন।তিনি বলেন, যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশবাসীর জন্য কাজ করছেন, তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদির জয় নিশ্চিত।দেশের প্রতিটি মানুষ মোদির জয়ের জন্য প্রহর গুনছেন।মোদির বিকল্প এই মুহূর্তে কেউ নেই।ফলে কংগ্রেস-সিপিএম সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি থেকেও এখন পদ্ম শিবিরে শামিল হচ্ছে।দুই কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীকে রেকর্ড ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান বিপ্লব দেব।এদিন বামুটিয়া বৈদ্যনাথ কমিউনিটি হলে সাংগঠনিক বৈঠক শেষ করেই তড়িঘড়ি দুপুরের বিমানে দিল্লী উড়ে যান শ্রীদেব।জানা গেছে, হরিয়ানার দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিজেপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকে অংশ নিতেই তিনি দিল্লী গেছেন।আগামী বুধবার তিনি রাজ্যে ফিরে আসবেন।