পাহাড়ে নয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতি!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ কুশপুতুল পোড়ানোর এবং কুশপুতুলকে অসম্মান করার,ঘৃনা বর্সানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতায় সামিল তিপ্রামথা ও শাসক দল বিজেপির জনজাতি মোর্চা। গত শুক্রবার প্রথম তিপ্রামথার কর্মী সমর্থকরা তৈদু বাজারে বিজেপি দলের সহ-সভনেত্রী পাতাল কন্যার কুশপুতুল পোড়ানোর মধ্যে প্রতিযোগিতার সূচনা করে।
পাল্টা হিসাবে রবিবার অমরপুরের থালছড়া বাজারে বিজেপি জনজাতি মোর্চার নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের কুশপুতুলের অসম্মান করে।
ঘৃনা বর্সায় এবং শেষে আগুন লাগিয়ে কুশপুতুল পোড়ায়। থালছড়ার ঘটনার পাল্টা হিসাবে সোমবার করবুক মহকুমার তিপ্রামথার যুব ও মহিলা সংঘটনের নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই দলের কর্মী সমর্থকরা সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, রাজ্যের উপজাতি কল্যান মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া ও বিজেপির প্রদেশ সহ- সভানেত্রী পাতাল কন্যা জমাতিয়ার কুশপুতুল নিয়ে করবুক বাজারের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে করবুক বাজারে সমবেত হয়। মাঝ বাজারে কুশপুতুল তিনটিকে দাঁড় করিয়ে দৃষ্টিকটু ভাবে ঘৃনাভরে চুরান্ত অসম্মান করে আগুন লাগিয়ে পোড়ায় এবং নৃত্য করে উল্লাস প্রকাশ করে।
ফলে পাহাড়ে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা কুশপুতুল পোড়ানোর এবং কুশপুতুলকে ঘৃনা ভরে অসম্মান জানানোর যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, সেটা কোথায় গিয়ে থামবে তা নিয়ে চিন্তিত রাজনৈতিক মহল। পাহাড়ের নূতন রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টাপাল্টি কুশপুতুল পোড়ানোর ও অসম্মান করার প্রতিযোগিতার ফল যে সূদুরপ্রসারী হবে তা বলাই বাহুল্য। অবিলম্বে ওই পাল্টাপাল্টি উস্কানি মুলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বন্ধ করার লক্ষ্যে উভয় দলের নেতৃত্বের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। নতুবা এর মুল্য উভয় দলকেই চুকাতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলের অভিমত।