পিআরটিসি, বামফ্রন্ট আমলেই তুলে দেওয়া হয় বাধ্যবাধকতা।

 পিআরটিসি, বামফ্রন্ট আমলেই তুলে দেওয়া হয় বাধ্যবাধকতা।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ‘পি আরটিসি’তুলে দেওয়া এবং বাধ্যতামূলক করা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। বলতে গেলে অনেকটা গোয়েবলসীয় কায়দায় এই বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রচার করা হচ্ছে, ২০১৮ রাজ্যে বাম সরকারের পতনের পর বিজেপি-আইপিএফটি সরকার রাজ্যে সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পিআরটিসির বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে।এই ক্ষেত্রে কিছু কিছু মহল থেকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেও প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হচ্ছে ২০১৬ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারই রাজ্যে সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পিআরটিসির বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছিল। তখন থেকেই রাজ্য সরকারী চাকরিতে বহি:রাজ্যের প্রার্থীরাও বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করার সুযোগ পেতে থাকে।২০১৮ সালে বাম সরকারের পতনের পর বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে গঠিত প্রথম বিজেপি-আইপিএফটি সরকারও একই পথে চলেছে। তারাও বাম সরকারের তৈরি নিয়ম বা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি। আগের সরকারের তৈরি করা নিয়মেই চলতে থাকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এতে বিভিন্ন সময় প্রশ্নও উঠেছে।২০২৩ রাজ্যে দ্বিতীয়বার বিজেপি- আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ‘পিআরটিসি’ বিতর্ক ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠে। রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার দাবিও উঠে বিভিন্ন মহল থেকে।পুনরায় রাজ্যে সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘পিআরটিসি’-কে বাধ্যতামূলক করার দাবি উঠে। ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনে এই বিষয়ে ডেপুটেশনও প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, রাজ্য রাজনীতিতে ‘পিআরটিসি’ একটি অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠে। শেষে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের স্বার্থের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। তারই ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে যে কোনও সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘পিআরটিসি’ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজ্য সরকারের এই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই রাজ্যের বেকার যুবক যুবতী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে খুশি পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় ৷ রাজ্য বাজেট অধিবেশনেও বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা এই সিদ্ধান্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা ও মন্ত্রীপরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি বলেছেন, শুধু পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করলে হবে না। রাজ্যে যে কোনও সরকারী চাকরিতে নিয়োগে প্রার্থীকে বাংলা অথবা ককবরক ভাষা জানাটা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাই ২০১৮ সালের পর রাজ্যে দেওয়া হয়েছে,এটা সম্পূর্ণ অসত্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আমলেই বামফ্রন্ট সরকার এই নীতি চালু করেছে। বর্তমান সরকার সেই নীতি প্রত্যাহার করে এখন পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করেছে। বাম আমলে এমন বহু চাকরির বিজ্ঞপ্তিতেপিআরটিসির উল্লেখ
নেই।যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনও ভারতীয় নাগরিকই ত্রিপুরায় চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পেয়ে গেছে। কিন্তু কিছু কিছু মহল থেকে প্রচার করা হচ্ছে প্রথম বিজেপি-আইপিএফটি সরকার এটা করেছে বলে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.