পিএইচডি স্কলার বঞ্চিত, নীরব দর্শক উপাচার্য, ক্ষোভ।
অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যের গবেষকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। কারণ,ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। ফলে তিন বছরের পিএইচডি কোর্স সাত বছরেও শেষ হচ্ছে না ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।মূলত এই কারণে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারও প্রশ্নের মুখে।অন্যদিকে, বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের প্রায় দুই শতাধিক স্কলার।কিন্তু এরপরও কোনও এক অদৃশ্য কারণে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার নীরবদর্শক বলে অভিযোগ উঠেছে।ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে পিএইচডি কোর্সে শতাধিক ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়।আর পিএইচডি কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে দুই ধাপে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ‘রেট’ পরীক্ষায় বসার জন্যও রাজ্যের পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে নগদ অর্থ দিতে হয়েছে। এরপর যেসব পরীক্ষার্থী রিসার্চ ইলিজিবিলিটি টেস্ট ‘এ’ উত্তীর্ণ হন। তাদের পিএইচডি কোর্সে ভর্তি করা হয়।এরপর পিএইচডি স্কলারদের ছয় মাসের কোর্স ওয়ার্ক চলে।আর ছয় মাসের কোর্স ওয়ার্কের পর পড়ুয়াদের জন্য লিখিত পরীক্ষাও হয়।আর এই লিখিত পরীক্ষায় বসার জন্যও স্কলারদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এরপর
লিখিত পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হলেন স্কলাররা।তবে পরিতাপের বিষয় হলো, কোর্স ওয়ার্কের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার তিন বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এরপর স্কলারদের কপালে জুটেনি গাইড, সুপারভাইজর।যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পিএইচডি নীতিমালা অনুযায়ী কোর্স ওয়ার্ক সমাপ্তির তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্কলারকে সুপারভাইজর দিবে বিশ্ববিদ্যালয় ।অভিযোগ,বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার এবং একাডেমিক কাউন্সিলের ব্যর্থতার জন্য এই নিয়ম কলাপাতায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে,কোর্স ওয়ার্ক উত্তীর্ণ সার্টিফিকেটের মেয়াদও দুই বছর।এরপর সার্টিফিকেটের বৈধতা নেই।প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এই দুবছরের মধ্যে যদি কোনও স্কলার সুপারভাইজরের তত্ত্বাবধানে গবেষণার কাজ শুরুতে ব্যর্থ হয়।তবে সংশ্লিষ্ট স্কলারকে আবার নতুন করে রেট পরীক্ষা দিয়ে পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে হবে। যদিও ইউজিসির নির্দেশে বলা হয়েছে স্কলারকে সুপারভাইজর প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে যারা পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন।তাদের বর্তমানে শোচনীয় অবস্থা।ফলে সহজেই অনুমেয় এরপর ধাপে ধাপে গত তিন বছরে যাদের ভর্তি করা হলো তাদেরও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।কারণ প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক গবেষককে সুপারভাইজর প্রদান করা হচ্ছে না। ফলে সাত থেকে নয় বছরে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচড়ি ডিগ্রি মিলছে।অভিযোগ,সম্প্রতি প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বঞ্চিত গবেষকদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।কারণ কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়াই প্রচার চলছে কোর্স ওয়ার্কের সার্টিফিকেটের মেয়াদ নাকি বৃদ্ধি করে পাঁচ বছর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আবার একাডেমিক কাউন্সিলের কোনও বিবৃতি নেই। জানা গিয়েছে, আবার সম্পূর্ণ বাঁকাপথে বাংলা, রসায়ন, সাংবাদিকতা, জনসংযোগ সহ কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য বিভাগে একাংশ বহি:রাজ্যের স্কলারদের সুপারভাইজর প্রদান করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।কেন রাজ্যের গবেষকদের বঞ্চিত করছেন উপাচার্য এ নিয়েও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।