পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনায়,রাজ্যে ব্যাপক সাড়া, নিজের বিদ্যুৎ নিজেই উৎপাদন করুন: রতন!!


অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা সারা দেশেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি চাহিদার তুলনায় সে পরিমাণ জোগান দিতে পারছে না। ফলে সারা দেশেই একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ত্রিপুরা রাজ্যেও। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরেও গেছে। তাই চাহিদার সাথে সাথে জোগান নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

রবিবার এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ।তবে তিনি আশ্বস্ত করেন সোলার -প্যানেল ক্রাইসিস সহসাই মিটে যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পটি এমনই এক জনকল্যাণমুখী যে সারা দেশে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি করেছে। আমাদের রাজ্যেও একই পরিস্থিতি। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ নিজে থেকে প্রকল্পটি সম্পর্কে নানা খোঁজখবর নিচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রথম বছরে রাজ্যে বারো হাজার ভোক্তা নাম নথিভুক্ত করেছেন। এ বছর এখন পর্যন্ত এক হাজারের উপর নাম নথিভুক্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রী জানান, এ বছরও আমাদের টার্গেট বারো হাজার নাম নথিভুক্ত করা। ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজার নাম নথিভুক্ত করার টার্গেট রয়েছে। এই টার্গেট আমরা পূর্ণ করবই। মন্ত্রী বলেন, শুধু নাম নথিভুক্ত করাই নয়, একই সাথে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও চলতে থাকবে।
এদিকে,রবিবার আগরতলা লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা নিয়ে জনসচেতনতা ও নিবন্ধীকরণ শিবিরে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আহ্বান জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ। উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগান নিশ্চিত করতে ২০২৪ সালের তেরো ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনার সূচনা করেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচশো গিগা ওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। এখন পর্যন্ত দেশে তিনশো গিগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত হয়েছে।
মন্ত্রী জানান,প্রতিটি নাগরিক তার বাড়ির ছাদে, উঠোনে কিংবা টিনের চালে এই সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করতে পারবে। নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যে কোনও ভোক্তা ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের কাছে বিক্রিও করতে পারবেন। মন্ত্রী বলেন, এক কিলো ওয়াট ক্ষমতার সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ভর্তুকি পাবে তেত্রিশ হাজার টাকা। দুই কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে ভর্তুকি মিলবে চেষট্টি হাজার টাকা। তিন কিলো ওয়াট সোলার প্যানেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভর্তুকি ৮৫,৮০০ টাকা। পাশাপাশি বাকি টাকাটাও সহজ কিস্তিতে — ঋণের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে নিতে পারবে ভোক্তারা। শিবিরে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল – নাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার, সদস্য সুবল ভৌমিক সহ অন্যরা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনাকে গোটা রাজ্যে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে ট্রেডা। এই ব্যাপারে জনগণের মধ্যে উৎসাহ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতেও ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।