পিএম সূর্য প্রকল্প একমাত্র বিকল্প হতে পারেঃ রতন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-শাস্ত্রে
সূর্যকে প্রসন্ন করার জন্য ১২টি মন্ত্র জপ করার উল্লেখ রয়েছে।এই মন্ত্র জপের ফলে একাধিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু এই বিশ্বাস অবিশ্বাস এর সীমানা পেরিয়ে সূর্যদেব প্রতি ঘরে আলো জ্বালিয়ে বিদ্যুতের বিলকে যে শূন্যে নামিয়ে আনতে পারেন, সেই আশ্চর্য ফর্মুলা নিয়ে এবার দেশে বিপ্লব ঘটিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনার বৈপ্লবিক ক্ষেত্রে নানা দিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। এ দিন তিনি বলেছেন, এই প্রকল্প এমন এক প্রকল্প যেখানে বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর কোন আশঙ্কা নেই। প্রতিমাসে বিদ্যুতের বিশাল বড় বিল জমা দেবার কোনও টেনশন নেই।খোদ সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের বৈজ্ঞানিক ব্যবহার যেকোনও পরিবার কিংবা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের বিল শূন্যে নামিয়ে আনতে পারে। রতনবাবু বলেন,এখানেই মোদিজীর করিশ্মা। জনগণকে এ ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুরু করলেন পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনা।
আগামী ২০৩০ সালে মধ্যে ৫০০ গিগা ওয়াট বিদ্যুতের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে এখন পর্যন্ত ২০০ গিগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করেন তিনি।যার লক্ষ্যমাত্রায় ৪০ শতাংশ ছুঁয়ে যায়। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ আরও বলেন, মোদিজী, ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যকে বিশেষ ক্যাটাগরি রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে এই রাজ্যের জনগণকে সূর্য ঘর প্রকল্পে উৎসাহিত করার জন্য ভতুকি বাড়িয়ে দেন।তার একটাই লক্ষ্য, বিদ্যুতের বিলকে শূন্যে নামিয়ে আনা।
এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে রতনবাবু আরও বলেন, এই প্রকল্পটি হলো, বাড়ির ছাদ কেন্দ্রিক সৌর বিদ্যুতের ক্ষমতা বাড়ানো এবং পরিবারগুলিকে তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম করা। এই উদ্যোগটি ২০২৩-২৪ অর্থবছর (১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে শুরু) থেকে ২০২৬-২৭ অর্থবছর পর্যন্ত চলবে। বিশেষত আবাসিক খাতের জন্য এই সময়কাল পর্যন্ত ভতুর্কি প্রদান করা হবে। এরজন্য মোট আর্থিক ব্যয় হবে ৭৫,০২১ কোটি টাকা। রাজ্যে এই প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সোমবার পর্যন্ত এমএনআরআই পোর্টালে সৌর অ্যাপ্লিকেশন নিবন্ধিত হয়েছে ১০০৬২ টি। সৌর আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে ১০৫৬টি। ইনস্টলেশন সম্পন্ন হয়েছে ৪৮ টি। মোট ভোক্তা ভর্তুকি প্রায় ৫৮ জন। উৎসাহীদের ভর্তুকির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রতনবাবু জানান,
আবাসিক সেক্টরে প্রথম ২ কিলো ওয়াট ক্ষমতা সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াট এর জন্য ভর্তুকি ৩৩ হাজার টাকা। প্রথম ২ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর পর পরবর্তী ১ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে ভর্তুকি মিলবে ১৯ হাজার ৮০০ টাকা। ৩ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভর্তুকি ৮৫৮০০ টাকা। রেসিডেন্সিয়াল সেক্টরে ৩ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর পর পরবর্তী সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে অর্থাৎ কিলোওয়াট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আর কোনও ভর্তুকি মিলবে না। হাউসিং সোসাইট / রেসিডেনশিয়াল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ইত্যাদির ক্ষেত্রে এবং ইলেকট্রিক্যাল ভেহিকেল চার্জিং এর ক্ষেত্রে ৫০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত সোলার প্যানেল বসাতে পারবেন। এরজন্য ভর্তুকি পাওয়া যাবে প্রতি কিলোওয়াট ১৯৮০০ টাকা। প্রতিটি পরিবার সর্বোচ্চ ৩ কিলোওয়াট পর্যন্ত সৌর প্যানেল স্থাপন করতে পারবেন।
নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যে কোন ভোক্তা ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের কাছে বিক্রি করতে পারবেন বলেও মন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন।তিনি জানান, যে কোনও ব্যক্তি তার নিকটবর্তী বিদ্যুৎ নিগম কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। এই প্রকল্পে প্রত্যেক আগ্রহী ব্যক্তিকেই ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ লিমিটেডের আধিকারিকরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন বলেও বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ এ দিন জানিয়েছেন।