পিভিসি পাইপ দিয়ে দূরবীণ বানিয়ে নজর কাড়লেন শিক্ষক।

 পিভিসি পাইপ দিয়ে দূরবীণ বানিয়ে নজর কাড়লেন শিক্ষক।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-পিভিসি পাইপ দিয়ে টেলিস্কোপ, তাও মাত্র হাজার পাঁচেক টাকায়। দেখা গিয়েছে চাঁদের গহ্বর থেকে শনির বলয়। বিশ্বাস না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে সেই অসাধ্য সাধন করেছেন এক যুবক। পেশায় আংশিক সময়ের কম্পিউটারের শিক্ষক হলেও নেশা নতুন নতুন জিনিস তৈরি করা। আর নিজের জেদকে হাতিয়ার করেই সকলকে চমকে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার সন্দীপ সিংহ।সামান্য খরচে তৈরি করেছেন অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ।যা বানাতে প্রয়োজন হয়েছে কয়েক ফুটের পিভিসি পাইপ, কয়েকটা লেন্স সহ কিছু জিনিসপত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা সন্দীপবাবু নিজের বাড়িতেই বানিয়েছেন একাধিক টেলিস্কোপ। এর আগেও গ্যালিলিয়ান টেলিস্কোপ বানিয়েছেন নিজের বাড়িতেই। তবে দেশীয় প্রযুক্তিতে এবারে বানিয়েছেন নিউটনিয়ান টেলিস্কোপ। যা দিয়ে তিনি চাঁদের গহ্বর,শনির বলয়ও দেখতে পেয়েছেন বলে জানান।কীভাবে এই দূরবীণ তৈরি করলেন সন্দীপ তাও জানিয়েছেন ‘দৈনিক সংবাদ’ কে। এর আগে তিনটি দূরবীণ তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেগুলির দৃশ্যমানতে ছিল না খুব বেশি। কারণ একটাই সেই দূরবীণগুলিতে লেন্সের শক্তি ছিল খুব কম। তবে সেই দূরবীণ দিয়েই একাধিকবার গ্রহণ নিজেও যেমন দেখেছেন তেমনই তার স্কুলের পড়ুয়াদেরকেও দেখিয়েছেন। এবার উদ্যোগী হয়েছেন চাঁদের মাটিতে গর্ত দেখাবেন পড়ুয়াদের। আর এক বছরের চেষ্টায় এই দূরবীণ তৈরি হয় নি। এর জন্য প্রায় বছর চারেক ধরে কলকাতার চাঁদনি মার্কেটে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আর যখন পুরনো ভালো লেন্স পেয়েছেন তখনই দাম দিয়ে তাকে পকেটস্থ করেছেন।প্রসঙ্গত বাজারে যে টেলিস্কোপ পাওয়া যায় তার দাম প্রায় হাজার চল্লিশ টাকা। সন্দীপ জানালেন, এখনও তার কাছে প্রায় চল্লিশটির বেশি লেন্স রয়েছে। যখন যেমন প্রয়োজন তখন তেমন লেন্স দূরবীণের সঙ্গে জুড়ে দেন। বিজ্ঞানমনস্ক পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে দূরবীণগুলি এক মহার্ঘ বস্তু বলে ব্যাখ্যা করেছেন শিক্ষক। সেক্ষেত্রে সন্দীপবাবুর বানানো এই বিকল্প টেলিস্কোপ গবেষক, ছাত্রছাত্রীদের কাছে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। তার এই কৃতিত্ব ইতিমধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। এর আগে পিভিসি পাইপ দিয়ে বাঁশি তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সৌভিক পাল।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.