পুত্র’ মোদিকে নিজের ২৫ বিঘা জমি দান করতে চান শতায়ু বৃদ্ধা।

 পুত্র’ মোদিকে নিজের ২৫ বিঘা জমি দান করতে চান শতায়ু বৃদ্ধা।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || জীবনের শতবর্ষ অতিক্রান্ত করে নিজের ইচ্ছার কথা সামনে আনলেন ভোপালের মাঙ্গি বাঈ। শতায়ু বৃদ্ধার সেই কথা শুনে তার চৌদ্দোটি সন্তানের কার্যত ‘ চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা। বৃদ্ধা জানান, নিজের পঁচিশ বিঘা (প্রায় পনেরো একর) জমি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দান করতে চান। কারণ তিনি মনে মনে, অনেক দিন ধরে মোদিকে নিজের পঞ্চদশ সন্তান ভেবে আসছেন। মঙ্গলবার ভোপালে জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির। ঘটনাচক্রে তখনই নিজের ইচ্ছার কথা ঘোষণা করেন মাঙ্গি বাঈ। সন্তানদের সামনে তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, বরং পুত্রস্নেহেই তিনি মোদিকে নিজের জমি দান করে যেতে চান। ভোপালের রাজগড় জেলা সদর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে হরিপুরা জাগির গ্রামের বাসিন্দা মাঙ্গি বাঈ।পাড়া-প্রতিবেশীদের দাবি, তার বয়স এখন একশো বছর।দিন কয়েক আগে ওই বৃদ্ধার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে বৃদ্ধাকে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করতে শোনা যায়। তাকে বলতে শোনা যায়, মোদির জন্মদাত্রী মা প্রয়াত হয়েছেন ঠিকই, তবে তিনিও আর এক মা। তিনি মোদিকে নিজের পঞ্চদশ সন্তানের মতো দেখেন। কয়েক জন প্রতিবেশীর সামনে বৃদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, মোদি দেশের অনেক সেবা করেছেন এবং তার মতো বৃদ্ধদের জন্য খাবার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।এমনও বলেন যে, তিনি শুধু মোদিকেই ভোট দেন। মোদি কেন তার ‘পুত্র’, সে ব্যাপারে মাঙ্গি বাঈ বলেছেন, তিনি দেশের অগণিত বৃদ্ধ মানুষের যত্ন নিয়েছেন।মোদির সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশও করেন শতায়ু।এবার মাঙ্গি বাঈ চাইছেন যে তার পঁচিশ বিঘা জমি প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করা হোক।তিনি বলেছেন,’মোদি আমাকে একটি বাড়ি দিয়েছেন। আমার চিকিৎসা করিয়েছেন এবং খাবারের জন্য টাকা দিয়েছেন।মোদির কারণে আমি তীর্থযাত্রায় যেতে পেরেছিলাম।’ বৃদ্ধা বলেন, ‘যিনি বিধবা পেনশন দিয়েছেন, প্রবীণদের বেঁচে থাকার রসদ দিয়েছেন এবং বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন, তিনি শুধু আমার একার নয়, প্রত্যেক বৃদ্ধা মায়ের সন্তান।’এ ব্যাপারে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির তরফে যদিও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।বৃদ্ধার সন্তানদের বক্তব্য, বয়সের ভারে ভুল বকছেন তাদের মা ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.