বিভিন্ন ঘটনায় বা ইস্যুতে বিরোধীদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি নতুন কিছু বিষয় নয়। এর আগেও বহু ঘটনা এবং ইস্যুতে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি উঠেছিল। নোট বাতিল, কোভিড মহামারি ইত্যাদি ইস্যুতেও শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি উঠেছিল। এবার ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সংগঠিত জঙ্গি হামলা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালো কংগ্রেস। কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে এই দাবি তুলেছেন ভারতীয় সেনার দুই অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক।এরা হলেন,অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল রোহিত চৌধুরী এবং অবসরপ্রাপ্ত উইং কমাণ্ডার অনুমা আচার্য।
তাদের বক্তব্য, ভারতের প্রাচীনতম এই জাতীয় রাজনৈতিক দলটি (কংগ্রেস) কোনও দিন দেশের নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করেনি।তাদের এই বয়ানকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসও চাইছে, এবার অন্তত পুলওয়ামা হামলা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক কেন্দ্রীয় সরকার। কীভাবে এই হামলা ঘটানো হয়েছিল? তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনা হোক। দেশবাসীকে জানানো হোক, কোথায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল? কেন দাবি করা সত্ত্বেও বাহিনীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় বিমান পরিষেবা দেওয়া হয়নি? নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোথায় কোথায় গলদ ছিল? সিআরপিএফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কি ভূমিকা ছিল? সব থেকে বড় কথা, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়েছিল কি না? হয়ে থাকলে তার নেপথ্যে কার ছিল? সবকিছুই প্রকাশ্যে আনা হোক।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় চল্লিশজন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিল।এই ঘটনা সারা দেশবাসীর জানা। সেই সময় এই হামল নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনা জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। তারপরের ঘটনাপ্রবা দেশবাসীর জানা। সার্জিকেল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে অনেক কিছু হয়েছে। সময়ের নিরিখে ধীরে ধীরে পুলওয়ামা ইস্যু চাপা পড়ে যায়। এখন প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারী পুলওয়ামায় শহিদ সিআরপিএ জওয়ানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া, তেমন কোনও কর্মসূ লক্ষ্য করা যায় না ।কিন্তু সেই পুলওয়ামা ইসু ফের একবার সামনে উঠে এসেছে। এর পেছনে অবশ্য জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের হাত রয়েছে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে একটি সংবাদপত্রে। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, পুলওয়ামা ঘটনার জন্য নিরাপত্তার গাফিলতিই দায়ী। এমনকী বিষয়টি নিয়ে সেই সময়ই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু দু’জনই তাকে চুপ করে থাকার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছেন সত্যপাল মালিক।তার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসতেই ফের পুলওয়ামা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়।একাধিক বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তোলা হয়। সত্যপাল মালিকের দাবিকে হাতিয়ার করে, কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে দুই সেনা আধিকারিকও সরব হয় এবং শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলে কংগ্রেস। এখন মূল প্রশ্নটি হচ্ছে, আদৌ কি শ্বেতপত্র প্রকাশ হবে? আদৌ কি দেশবাসী জানতে পারবে, প্রকৃত ঘটনা কি?আদৌ কি এই হামলার পেছনে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র ছিল?এই প্রশ্নগুলির উত্তর হয়ত কোনও দিনই জানা যাবে না। তবে গোয়েন্দা ব্যর্থতা যে ছিল, তা তো মানতেই হবে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-হাওড়া থেকে পুরী যাচ্ছিলেন ঢাকুরিয়ার হিমাদ্রি ভৌমিক (বয়স ৫৭)। পথেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার রাত থেকে কুড়িবার কেঁপে উঠে পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচি। রিখটার স্কেলে কম্পনের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বন্যায় ভয়াবহ অবস্থা উত্তর-পূর্ব ভারতে। টানা বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত অসম। সূত্রে খবর, ভয়াবহ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-পদপিষ্টে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনাতে কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের দিকে তোপ দেগে দিয়েছেন বিজেপি।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বুধবার বেঙ্গালুরুতে আরসিবি টিমের বিজয়োৎসব চলছিল স্টেডিয়ামের ভেতরে। সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আরসিবি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। দেশের সরকারের নির্দেশিত…