পুলিশি ব্যর্থতায় জামিন পেয়ে গেল চার অভিযুক্ত!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-শিক্ষক
অভিজিৎ দে হত্যা মামলায় আটক চারজন অভিযুক্তই নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়ে গেছে।জয়ন্ত সাহা, সুতপা দেবনাথ,বিশ্বজিৎ সাহা ও জয়ন্ত কর্মকার পুলিশের বদান্যতায় জামিন পেয়ে এখন দাপটে রয়েছেন। খুনের মামলার তদন্তকারী অফিসার ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেননি।৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা না হওয়ায় চার আসামির জামিন পাওয়া সম্ভব হয়েছে। পুলিশি তদন্তে গড়িমসি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উদয়পুর সহ সারা রাজ্যে।পুলিশ কি তাহলে তদন্তে ধীরগতি ইচ্ছাকৃতভাবে অবলম্বন করেছে আসামিদের জেল থেকে বেরোনো সুনিশ্চিত করতে যাতে করে জেল থেকে বেরিয়ে প্রভাবশালী আসামিরা তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে,সাক্ষীদের ম্যানেজ করতে পারে।
পুলিশ কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতিকে কলাপাতা প্রমাণ করতে ব্যস্ত?উল্লেখ্য, নিহত শিক্ষক অভিজিৎ দে-র বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।প্রয়াতের শোকাতুর স্ত্রী ও পরিজনদের আশ্বস্ত করেছিলেন, ন্যায় বিচার দেবার।মুখ্যমন্ত্রীর সমবেদনা ও আশ্বাসে নিহতের পরিবার-পরিজনরা ভরসা পেয়েছিল।কিন্তু মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে প্রমাণিত, পুলিশ আছে পুলিশেই। রাজনৈতিক, প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে ক্ষমতাবান আসামিদের বাঁচাতে তদন্তে ধীরগতি ও খামখেয়ালী ইতিমধ্যেই স্পষ্ট।৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা পড়লে আসামিদের জেলহাজতে রেখে বিচারের সুযোগ ছিল। তা হতে দেয়নি তদন্তকারী অফিসার।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ও ভরসাকে জুমলা বানাতে স্বরাষ্ট্র দপ্তর সক্রিয়। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের উপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ আছে কি?অভিজিৎ দে হত্যা মামলার পাঁচজন আসামিদের মধ্যে একজনের নাগাল এখনও পুলিশ পায়নি।আসামি পুলিশের কানামাছি খেলা জমেছে ভালো।