অনলাইন প্রতিনিধি :-ঝুল, ধুলো পানের পিক। টয়লেটের উগ্র ঝাঁঝালো গন্ধময় চত্বর। সরকারী অফিসগুলির এই পরম্পরা ঐতিহ্য মুছে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।পরিবর্তে তিনি চাইছেন সরকারী কার্যালয়গুলিও যেন কর্পোরেট অফিসের মতো হয়ে উঠে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সাজানো গোঁছানো।সাব্রুম যাবার পথে তার শান্তিরবাজার ও জোলাইবাড়িতে দুটি সাংগঠনিক সভা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিলো।দীর্ঘ সড়কপথ জার্নির পর তিনি সাড়ে দশটায় পৌঁছেন শান্তিরবাজার এবং সাময়িক বিশ্রামের জন্য উঠেন ডাকবাংলায়।এগারটা নাগাদ তিনি আচমকা শান্তিরবাজার মহকুমাশাসক অফিস পরিদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করে সোজা সেখানে চলে যান। অফিসে প্রবেশ মুখে সম্প্রতি একটি হেলপ ডেস্ক চালু করেছেন মহকুমাশাসক। হেলপ ডেস্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং এহেন একটি সুবিধা চালু করায় প্রশংসা জানিয়ে মহকুমাশাসক কার্যালয়ের দোতলায় উঠে যান মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক তিনি সব সেকশনেই যান এবং কর্মরত কর্মীদের সাথে কথা বললেন। জুডিসিয়ারি বিভাগের কর্মীদের জিজ্ঞেস করেন বাইরে থেকে চাপ আসে কিনা। কোনও ধরনের চাপে পড়ে পক্ষপাতমূলক কাজ না করতে তিনি নির্দেশ দেন। কর্মীদের সাথে কথা বলেন। কর্মচারীদের হাজিরা খাতাও তলব করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭ জন কর্মচারীর অনুপস্থিতি ছিল।তবে তারা অথরাইজড অনুপস্থিত বলে মহকুমাশাসক মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত
করেন।সেকশনগুলিতে মাকড়সার জাল,ধুলোময়, স্তূপীকৃত ফাইল, পুরনো ফাইলের এলোমেলো ছড়াছড়ি ইত্যাদি নজর এড়ায়নি মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি নির্দেশ দেন অপ্রয়োজনীয় পুরনো ফাইলগুলি সরিয়ে ফেলতে। কক্ষগুলির ওয়ালে ছাদের তলায় মাকড়সার জাল, ঝুল, যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।অফিস সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে কাজে ক্লান্তি আসবে না। কর্মসংস্কৃতির উন্নতি ঘটবে।সরকারী অফিসগুলির নোংরা দুর্গন্ধময় পরিবেশ দূর করতে আজকের শান্তিরবাজার মহকুমাশাসক অফিস পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী একটা বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন শিক্ষিত সচেতন মহল।এই বার্তা অফিসের কর্মী আধিকারিকদের প্রতিই শুধু নয়, জনপ্রতিনিধিদের প্রতিও তার এই বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।সব অফিসে অফিসে মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করতে যাবেন এটা কখনও সম্ভব নয়। তাঁর ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্য সফল করতে যেন দায়িত্ব নিয়ে কর্মী অফিসার জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসেন পরোক্ষে সেই বার্তা ইতিমধ্যে গোটা রাজ্যেই পৌঁছে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।মহকুমাশাসক কার্যালয় পরিদর্শন শেষে শান্তিরবাজার কমিউনিটি হলে সাংগঠনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী।এরপর আরেকটি সাংগঠনিক সভা করেন জোলাইবাড়িতে। সেখানে বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষে নতুন ভাড়া নেওয়া জোলাইবাড়ি মণ্ডল কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। সাংগঠনিক সভায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসনে জয়লাভের জন্য রণকৌশল এবং নানা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।সাংগঠনিক সভাগুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাপিয়া দত্ত, নবাদল বণিক, শঙ্কর রায়, প্রমোদ রিয়াং প্রমুখ।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…