পৃথিবীর বৃহত্তম পান্না আবিষ্কার করে গিনেস বুকে নাম বঙ্গ সন্তানের
জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পশ্চিমবঙ্গের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরে। তিনি মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশায় তিনি ভূতাত্ত্বিক। এই মুহূর্তে তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনামে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পান্না রত্ন গিনেস বুকে নাম তুললেন বঙ্গ যুবক মানসবাবু। আফ্রিকার জাম্বিয়ার খনি থেকে সঙ্গী ভূতাত্ত্বিক রিচার্ড কাপেটার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মানসবাবু আবিষ্কার করেছেন ৭,৫২৫ ক্যারাটের ১ কেজি ৫০৫ গ্রাম ওজনের সবুজ পান্না। এই সূত্রে বঙ্গ সন্তানের নাম উঠেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড য়ে রেকর্ডসে। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওই পান্না পাথরটি ১৫ কোটি টাকায় জা কিনে নিয়েছে এক বহুজাতিক সংস্থা। আসলে মানসবাবুরা পৃথিবীর বৃহত্তম পান্না রত্নটি জাম্বিয়ার কপারবেল্ট প্রদেশের এফটেন জংশন খনি থেকে আবিষ্কার করেছিলেন ২০২১ সালের কর জুলাই মাসে। গিনেস বুকে সম্প্রতি নাম ওঠার সূত্রে সংবাদের পাদপ্রদীপে উঠে এসেছেন মানস। এফটেন জংশন খনি এর আগেও নানা রেকর্ডের সাক্ষী থেকেছে। বিরল রত্ন-পাথরের জন্য ।এই খনি জগৎবিখ্যাত। ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে বাঙালি ভূতাত্ত্বিকের নেতৃত্বে একদল ভূতত্ত্ববিদ ওই খনিতে গবেষণামূলক কাজ করছিল। সেই সূত্রে ডিনামাইট দিয়ে একের পর এক ব্লাস্টিং করছিলেন মানসবাবুরা। মাস তিনেক গবেষণার পরে ১৩ জুলাই ব্লাস্টিংয়ের সূত্রে অতিকায় ‘সিঙ্গল ক্রিস্টাল’ পান্নাটি আবিষ্কার করেন মানসবাবু। প্রথমে দেখে কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে এটি আদতে পান্না! কারণ, এত বড় পান্না যে হতে পারে বিশেষজ্ঞরাও প্রাথমিক ভাবে তা বুঝতে পারেননি। বুঝতে পারার পরে খনি এলাকায় কার্যত হইচই পড়ে যায়। বিভিন্ন খনি থেকে কাজ বন্ধ করে ছুটে আসেন ভূতাত্ত্বিকেরা। অনেকটা গন্ডারের সিংয়ের মতো দেখতে ওই পাথরটির তারা নাম দেন চিপেমবেল। জাম্বিয়ার বেম্বা সম্প্রদায়ের ভাষায় এই শব্দের অর্থ একশৃঙ্গ গন্ডার। মানসবাবু যে সংস্থার হয়ে কাজ করেছিলেন, তাদের নামও ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বিপুল টাকাও লাভ করে তারা। ওই ঘটনার পরে মানসবাবুর কৃতিত্বকে সামনে আনেনি জাম্বিয়ান খনন সংস্থা। তার টিমের সদস্যরাও সেভাবে সম্মান পাননি। যাই হোক, গত বছরই জাম্বিয়ায় ওই সংস্থার চাকরি ছেড়ে দেন মানসবাবু।