পৈশাচিক ! সাত নবজাতককে খুন করে ধৃত ব্রিটিশ নার্স।
মাতৃরূপে যে মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়, সেই মেয়ে আবার এতখানি নৃশংস হয়ে উঠতে পারে, এ ঘটনা সামনে না এলে জানাই যেত না।তাও আবার সেই তরুণী পেশায় হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা বিভাগের একজন নার্স!গোটা ব্রিটিশ সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। নবজাতক পরিচর্যা ইউনিটে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় একটি নয়, দুটি নয়, সাতটি সদ্যোজাত শিশুকে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ওই ব্রিটিশ নার্স। এখানেই শেষ নয়, একইসঙ্গে নবজাতক ইউনিটে আরও ছয় শিশুকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।ওই ‘বীভৎসা’ নার্সের নাম লুসি লেটবি (ছবি)।বয়স ৩৩ বছর।আদালতে প্রমাণিত হয়েছেন, পাঁচটি পুত্রসন্তান ও দুটি কন্যাসন্তানকে হত্যা এবং আরও কয়েকটি শিশুর উপর প্রাণঘাতী হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লুসি।নিজের দোষ স্বীকার করে নিজেকে ‘ইভিল’বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।লন্ডনের নিম্ন আদালতের বিচারক জানিয়েছেন,২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কাউন্টেস অভ চেস্টার হসপিটাল-এ কর্মরত অবস্থায় লুসি ওই শিশুদের হত্যা ও হত্যার চেষ্টা করেন। কী করে এমন পৈশাচিক কাজ করলেন একজন তরুণী?বিচারক জানিয়েছেন,লুসি কয়েকটি শিশুর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন ও বাতাস ঢুকিয়ে এবং বাকিদের জোর করে দুধ খাইয়ে হত্যা করেছেন। কয়েকটি শিশুর উপর একাধিকবার আক্রমণ করে তিনি তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। সরকারী কৌঁসুলি বলেন, ‘বাতাস, দুধ, তরল খাবারের মতো অ-বিষাক্ত জিনিস কিংবা ইনসুলিনের মতো ওষুধও তার ওই তরুণী নার্সের হাতে পড়ে মারণাস্ত্র হয়ে উঠেছিল।’ লুসিকে গ্রেপ্তার করার পর তার বাড়ি তল্লাশি করার সময় পুলিশ তার লেখা চিরকুট পায়। তাতে লুসি স্বহস্তে লেখা, “আমি ওদের খুন করেছি, কারণ ওদের যত্ন নেওয়ার মতো যথেষ্ট ভালোমানুষ আমি না। আমি ভীষণ খারাপ মানুষ।”ওই চিঠিতে লুসি আরও লিখেছেন: ‘আমি শয়তান! আমিই এ কাজ করেছি (আই অ্যাম ইভিল, আই ডিড দিস)