দ্বিতীয়দিন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো হাজারো দর্শক-শ্রোতা!!
পোলস্টারকে হারিয়ে লীগে দ্বিতীয় জয় পেলো চলমান

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || কৃষ্ণধন নম:-র চমৎকার বোলিং সৌজন্যে সন্তোষ স্মৃতি এ ডিভিশন ঘরোয়া একদিবসীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিলো কৃষ্ণধনের চলমান সংঘ। তবে আজ কৃষ্ণধনের অফ স্পিন ও জয়দেব দেবের লেগ স্পিনের কাছে হার মানলো পোলস্টার। নরসিংগড়ের পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি মাঠে আজ চলমান সংঘ ছয় উইকেটের বড় ব্যবধানে পোলস্টারকে হারিয়ে লীগে টানা দুই ম্যাচে জয় পেলো। আজকের ম্যাচের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল কৃষ্ণধন নম:-র অনবদ্য বোলিং। কৃষ্ণধন (৬.৫-১-৩৫-৫) নজর কাড়ে বোলিং করে। সঙ্গে জয়দেব দেবও দারুণ বোলিং করে। আজ পোলস্টারের পরাজয়ের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল দলীয় ব্যাটারদের দৃষ্টিকটু ব্যাটিং। দলের জঘন্য ব্যাটিংয়ের মধ্যে একা লড়াই করে শিবম পাণ্ডে। কিন্তু তাকে কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেনি। যে কারণে দলীয় স্কোর বড় হয়নি। ৫০ ওভারের ম্যাচে পোলস্টার ক্লাব সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১১ রানই তুলতে পারে। জবাবে চলমান সংঘ চার উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নেয়। ব্যাটিং করে ২৮.৩ ওভার। আজ ম্যাচ জেতায় ব্লাডমাউথ ম্যাচের আগে নিজেদের মনোবল আরও বাড়িয়ে নিলো চলমান সংঘের ক্রিকেটাররা।
তবে পোলস্টারকে ইউবিএসটির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ খেলতে হবে। তার আগে এ দিন সকালে পোলস্টার ক্লাব প্রথম ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়। কিন্তু দলীয় ত্রিশ রানের মাথায় দুই ওপেনার অমরেশ দাস (৪) ও কিষান মুড়াসিংকে (৮) দল হারিয়ে বসে। ৩৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন। ফিরে যায় নিহাল চন্দ্র শ্রীবাস্তব ১৮ (৪৯)। পরপর দুই উইকেট তুলে কৃষ্ণধন পোলস্টার শিবিরে ভয় ঢুকিয়ে দেয়। অরিন্দম বর্মণও (৮) দ্রুত ফেরত আসে। তার পেছনে একে একে ফিরে যায় ঋতুরাজ ঘোষ রায় (৬), মহম্মদ আলমগীর (১৬), হেমন্ত ভিগনেস (০), সন্দীপ সরকারও (৫)। একা লড়ে যায় শিবম পাণ্ডে। ৬৩ বলে ৩৫ রান ন ক্রিকেট করে অপরাজিত থেকে যায় শিবম। অতিরিক্ত ১১। সব মিলিয়ে পোলস্টারের লড়াই মাত্র ১১১ রানেই থেমে যায়। কৃষ্ণধন নম: এদিন বল হাতে বিপক্ষ শিবিরের বড় আতঙ্কই ছিল। (৬.৫-১-৩৫-৫) দুর্দান্ত বোলিং করে কৃষ্ণধন। তাকে সঙ্গ দেয় জয়দেব দেব (৭-১-৮-৩)। ম্যাচ জেতার জন্য দরকার ৫০ ওভারে অর্থাৎ ৩০০ বলে মাত্র ১১২ রান। এ লক্ষ্যে খেলতে নেমেই চলমান ওপেনার তন্ময় দাসকে (০) হারিয়ে বসে। এরপর অধিনায়ক লক্ষ্মণ পাল ২৪ বলে ২২ ও আর্মান হোসেন ২৩ (৪৮) ভালো খেলার চেষ্টা চালায়। দুজনকেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেয় দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য। সোমেন মহান্তি ২৮ (৪৬) যখন অরিন্দমের বলে আউট হয় তখন চলমানের স্কোর ১০৬/৪। এ জায়গা থেকে দলকে জয়ে পৌঁছে দেয় তন্ময় ঘোষ ২৮ (৩৪) ও নবজ্যোতি দেবনাথ (২)। অতিরিক্ত রান ৯। বোলিংয়ে দ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (১০- ১-২৪-২), অমরেশ দাস (৮.৩-০-৩৬-১) ও অরিন্দম বর্মণ (২-০-১০-১) উইকেট পায় ৷