পোষা কুকুরকে বাড়ি বিক্রির অভিযোগে রিয়েল এস্টেট দালাল গ্রেপ্তার ইরানে।

 পোষা কুকুরকে বাড়ি বিক্রির অভিযোগে রিয়েল এস্টেট দালাল গ্রেপ্তার ইরানে।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রতারক হিসাবে প্রসিদ্ধ’ হয়ে আছেন মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব ওরফে নটবরলাল। তিনি দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ও ধীরুভাই আম্বানির সই জাল করেছিলেন। সর্বোপরি, তিন বিদেশি পর্যটকের কাছে তিন বার আগ্রার তাজমহল বিক্রি করেছিলেন! অতটা না হলেও প্রায় কাছাকাছি এক ঠগবাজকে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের তেহরান পুলিশ। ওই ব্যক্তি পেশায় জমি-বাড়ির দালাল। চেস্টার নামে বাড়ির পোষা কুকুরের (ছবি) কাছে এক ইরানি দম্পতিকে দিয়ে তাদের বিশাল বাড়িটি উইল করে দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়ে, এবং সেই জাল হস্তান্তর পর্বের ভিডিয়ো করে সেটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। ধৃত প্রতারকের নাম প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছে? গত রবিবার সমাজমাধ্যমে এ দেশে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, নিজেদের পোষা সম্ভবত স্পিৎজ প্রজাতির দুধসাদা, লোমশ, ছোট শরীরের কুকুরের নামে বাড়ির মালিকানা হস্তান্তরের চুক্তিপত্রে সই করছেন এক দম্পতি। এক মহিলার (গৃহকর্ত্রী) সহযোগিতায় ‘চেস্টার’নামের কুকুরটিকে কালির প্যাডে থাবা বসিয়ে পরে স্ট্যাম্পে ছাপ দিতেও (টিপসই!) দেখা যায়। ভিডিয়োতে ওই মহিলাকে বলতে শোনা যায়, তাদের কোনও উত্তরসূরি নেই।এ জন্য তারা নিজেদের আ্যাপার্টমেন্ট ওই কুকুরকে উত্তরাধিকার হিসাবে দিয়ে দিতে চান। ইরানে কুকুর পোষার বিষয়ে কোনও আইনি বাধা নেই। তবে অধিকাংশ মুসলিম দেশে কুকুরকে অপরিচ্ছন্ন মনে করা হয়। রক্ষণশীল ইসলামিক নেতারা কুকুরকে পোষ্য হিসেবে না রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনা-জানায়, ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট ‘মিজান’-এ ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল রেজা তাবার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এই কেনাবেচায় জড়িত এক রিয়েল এস্টেট এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার অফিসটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল রেজা তাবার বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ লঙ্ঘনের বিষয়কে সহনীয় করে দেখানোই ছিল এই কেনাবেচার উদ্দেশ্য। কুকুরের কাছে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির কোনও আইনি ভিত্তি নেই।’তবে বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। রক্ষণশালী ইসলামিক সমাজে কুকুর পোষা নিয়ে ছুঁৎমার্গ কাজ করলেও বিড়াল পুষতে কোনও মানা নেই। ইসলামের ধর্মগুরুরা বলেন, স্বয়ং পয়গম্বর নবী হজরত মহম্মদ বিড়াল ভালবাসতেন। সেই যাই হোক, ইরানি সমাজ, বিশেষ করে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে কুকুর ও বিড়াল পোষার হার বাড়ছে বলে জানিয়েছে ‘ইসনা’।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.