পোষ্য সারমেয় মালকিনের জন্য খুঁজে আনল কিডনি
কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে উঠেছিল লুসি নামের এক মহিলার। দাতার খোঁজও করছিলেন তিনি। কিন্তু সহজে কিডনিদাতার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। কেননা এক্ষেত্রে শারীরিক কারণেই নানা শর্ত পূরণ করতে হয়। এর পরের ঘটনা প্রায় গল্পের মতোই। একদিন মহিলা তার পোষাকে নিয়ে সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।হঠাৎ তার পোষা ডোবারম্যান অপরিচিতা এক মহিলার কাছে দৌড়ে যায়।প্রায় ১০০ গজ দূরে থাকা সেই মহিলার কাছে কেন যে গিয়েছিল পোষ্যটি,তা তখন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেননি তার মালকিন। অনেক ডাকাডাকিতেও সে ফেরে না। পরে মালকিন নিজে গিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনে। অপরিচিতার সঙ্গে তার আলাপ পরিচয়ও হয়।কথায় কথায় সেই মহিলা জানতে পারেন যে,পোষ্যের মালকিন কিডনি কথায় কথায় সেই মহিলা জানতে পারেন যে,পোষ্যের মালকিন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দাতা খুঁজছেন। ঘটনাচক্রে, কেটি নিমে ওই মহিলাও নিজেকে কিডনি দান করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারা পরস্পরের ফোন নম্বর নেন। এরপর অপরিচিতা এই মহিলা নিজের শারীরিক পরীক্ষা করেন।আর আশ্চর্য ভাবে সব শর্ত মিলে যায়। অর্থাৎ,পোষ্যের মালকিনের কিডনিদাতা হতে পারেন তিনিই। চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যাপারটা খুবই দুরূহ।সব শর্ত মিলিয়ে এরকম কিডনিদাতার পাওয়ার সম্ভাবনা ২২ লক্ষে এক জন। লুসি এমন আচরণ করতে বারণ করলেও কিছুতেই মালকিনের কথা কানে তুলছিল না লুসির পোষ্য ডোবারম্যান জ্যাক। এরপর জ্যাককে থামিয়ে তার আচরণের জন্য অপরিচিত কেটির কাছে ক্ষমা চান লুসি। কথা প্রসঙ্গে কেটি জানতে পারেন লুসির বিরল অসুখের কথা। পাশাপাশি, তিনি যে একজন কিডনি দাতা খুঁজছেন দীর্ঘ দিন ধরে তাও প্রকাশ পায় আলাপচারিতায়। কেটি এরপর লুসিকে জানান যে তিনি কিডনি দান করতে প্রস্তুত। দুজনে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করলে জানা যায় কেটিই ২ কোটি মানুষের মধ্যে সেই সঠিক মানুষ যার কিডনি লুসির শরীরে মাপসই হতে পারে।অর্থাৎ জ্যাক তার মালকিনের জন্য একেবারে সঠিক মানুষটিকেই ধাওয়া করেছিল সমুদ্রের ধারে ঘুরতে গিয়ে।কেটি এবং লুসির অস্ত্রোপচার এরপর নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়। বর্তমানে দুজনেই সুস্থ আছেন। আর জ্যাকও মালকিনের প্রাণ বাঁচিয়ে হয়ে উঠেছে চোখের মণি।এমনকি কেটির পরিবারের সঙ্গেও বেশ ভাব হয়ে গেছে এই চারপেয়ের।