প্রতিটি রাজ্যেই জয় চায় বিজেপি

 প্রতিটি রাজ্যেই জয় চায় বিজেপি
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

নাড্ডাই বিজেপি সভাপতি থাকবেন। ২০২৪ এর জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ল বিজেপির সভাপতির কার্যকালের। অর্থাৎ ২০২৪ থে বি বি ম এর লোকসভা নির্বাচন সাংগঠনিকভাবে নাড্ডার নেতৃত্বেই লড়বে বিজেপি। বি দুদিনব্যাপী বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । প্রথম দিন দলের সভাপতি বলেছিলেন, গোটা দেশে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এখন থেকেই। এর আগে ৭০ হাজার বুথকে টার্গেট করা হয়েছিল। এবার সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় লক্ষ। আগামীদিনে গোটা দেশের প্রধানত সেই রাজ্যগুলিতেই সংগঠন বাড়াতে হবে, যেখানে এতোদিন ধরে সেভাবে কোনও শক্তিবৃদ্ধি হয়নি। আর পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যই আসন্ন বিধানসভা ভোটে জয়ী হতে হবে বলে নিদের্শিকা দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। ত্রিপুরা থেকে কর্ণাটক।….রাজস্থান থেকে মধ্যপ্রদেশ। নাগাল্যাণ্ড বিকাশের থেকে মেঘালয়। প্রত্যেক রাজ্যই ছড়িয়েই বিজেপির হাতে আসবে। এবং বিজেপির জয় অবশ্যই সম্ভব। এই মর্মেই, শপথ নিতে হবে। নাড্ডার সেই উচ্চবর্ণ নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মুসলিম নরেন্দ্র মোদি সেই লক্ষ্যমাত্রাকে আরও সংযোগ বিস্তারিত তথা সম্প্রসারিত করলেন। তিনি বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের শেষদিনে দলকে বলেছেন, শুধু আমাদের ভোটার নয়। আমাদের সমর্থক নয়। যাদের ভোট আমরা পাব না বলেই ধরে নেওয়া হয়, তাদেরও গ্রামে কাছে যেতে হবে। তিনি বিশেষভাবে সঙ্গে উল্লেখ করেছে শিক্ষিত মুসলিমদের কথা। পসমিন্দা মুসলিম সমাজের উপর আর জোর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, লোক আমাদের এটা ভেবে নিয়ে নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকলে চলবে না যে, আমরা এ দি শিক্ষিত মুসলিমদের ভোট পাব না । পাই বছর না পাই সেটা ভোটের সময় দেখা যাবে। কিন্তু ভারতবাসী হিসেবে তাদের কাছেও হবে আমাদের পৌঁছতে হবে। অর্থাৎ ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যে স্লোগান দিয়েছিলেন সেই সবকা সাথ সবকা….বিকাশের স্লোগানকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতে তিনি দলকে উদ্বুদ্ধ করছেন। তার এবং করছেন। মোদি দলকে নির্দেশ দিয়েছেন এই শুধুই হিন্দু অথবা সংখ্যাগুরু কিংবা রাজ হলে সেই উচ্চবর্ণ নয়। সমাজের দলিত নিম্নবর্গ আম ন্ত্রী মুসলিম শিখ খ্রিস্টান সকলের সঙ্গে সংযোগ করতে হবে। আমাদের প্রধান তে লক্ষ্য জনসংযোগে। মানুষের সঙ্গে আমাদের দলের প্রত্যেকের যেন একটি সংযোগ গড়ে উঠে। আগামীদিনে দিে প্রত্যেক বিজেপি এমপি, বিধায়ক, এব মন্ত্রীকে বলা হবে মানুষের কাছে যেতে। গ্রামে ও শহরে বেশি করে মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মোদি বলেছেন, আর মাত্র ৪০০ দিন বাকি আছে লোকসভা ভোটের। সেই ৪০০ দিনের প্রতিটি ঘণ্টাকে ব্যবহার করতে হবে। সেই ৪০০ দিনের প্রতিটি ঘন্টাকে ব্যবহার করতে হবে। এ দিন মোদি বলেছেন, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের কাছে আমাদের ভাবনা ও বক্তব্য বেশি করে পৌঁছে দিতে হবে। এই প্রজন্ম দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। তাদের দেশ সম্পর্কে জানাতে হবে। সীমান্ত এলাকায় বিশেষভাবে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। কথায় বিজেপি কোনও এটা আর করে বুদ্ধ তার ছন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছে না ৷ এটা হলো সামাজিক কর্মসূচি। আর আমাদের লক্ষ্য হলো সর্বোত্তম কাল হিসেবে ভারতের এই সময়কে গড়ে তোলা। এদিকে, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে রাজ্যের সাংগঠনিক অবস্থার বিস্তৃত বিবরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য তারা দুইজনই প্রশাসনিক এবং ■ দলীয় অবস্থার কথা পৃথকভাবে মেলে ধরেছেন। পেশ করেছেন সাংগঠনিক প্রতিবেদন। নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বেশ কিছু প্রস্তাবও। গত এক বছর সময়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পদ্মশিবির যে সব পদক্ষেপ নিয়ে এ দিন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে মেলে ধরেন। দিল্লীতে বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসে আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিরও বিবরণ দেন। সোমবার বৈঠক শুরু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা শেষ হয় ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.