দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে যে সমস্ত রাজ্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনসংখ্যার উপর লাগাম পরিয়েছে, সেই রাজ্যগুলোরই এবার লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাগরিকদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা তুলে দিতে প্রত্যেককে একটি করে ভোটের অধিকার দেওয়া হয়েছে আমাদের সংবিধানে। সেই নিরিখের ভিত্তিতেই ঠিক করা হয় লোকসভা ও বিধানসভার আসন। অর্থাৎ যে রাজ্যের জনসংখ্যা হবে যত বেশি, সেই রাজ্যের হাতেই বেশি থাকবে লোকসভার আসন। এই জনসংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই ১৯৫২ সালে দেশে প্রথম গঠিত হয়েছিল ডিলিমিটেশন কমিশন। সেই ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে লোকসভার আসন সংখ্যা নিরুপণ হয়েছিল ৪৯৪টি। পরবর্তীকালে ১৯৬৩ এবং ১৯৭৩ সালে আরও দুই দফায় লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস করা হয়। আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৬৩ সালে ৫২২ এবং ১৯৭৩ সালে ৫৪৩টি। সেই থেকে দীর্ঘদিন আসন পুনর্বিন্যাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। কারণটা ছিল খুব সহজ। লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে জন্মনিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দেবে না রাজ্যগুলো। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছিল আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ। কিন্তু জনসংখ্যা যেহেতু থেমে থাকে না, কোথাও বাড়ে এবং কোথাও কমে, তাই ২০২৬ সালে ভারতের আনুমানিক জনসংখ্যা হতে পারে ১৪৫ কোটির কাছাকাছি। এই জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করেই হবে দেশে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলোর আসন পুনর্বিন্যাস। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যগুলোর লোকসভা আসন সংখ্যা কত গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং সমীক্ষা। কারণ নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোর সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩ থেকে বেড়ে ৭৫৩ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। যেহেতু সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজটি করা হয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে। সেক্ষেত্রে উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারতে লোকসভার প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে এই আসন বিন্যাসের নতুন চিত্র বদলে দিতে পারে ভারতের রাজনৈতিক চেহারাও। জন্মনিয়ন্ত্রণে দেশের উত্তর ভারতের তুলনায় অনেক ভালো কাজ করছে দক্ষিণের রাজ্যগুলো। ফলে জনসংখ্যার গড়পড়তা বৃদ্ধির হিসাবে দক্ষিণ ভারত অনেকটাই পিছিয়ে। সেক্ষেত্রে কিছু সমীক্ষা বলছে, আগামী বছর ২০২৬ সালে যখন লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হবে তখন কর্ণাটকের আসন বর্তমানের ২৮ থেকে কমে ২৬ হতে পারে, তেলেঙ্গানা ১৭ থেকে কমে ১৫, অন্ধ্রপ্রদেশ ২৫ থেকে কমে ২০ এবং তামিলনাড়ু ৩৯ থেকে হ্রাস পেয়ে ৩০-এ নেমে আসবে লোকসভার আসন সংখ্যা। কেরালায় বর্তমান লোকসভার ২০টি আসন নেমে আসতে পারে ১৪-তে। পশ্চিমবঙ্গেও ৪২ থেকে আসন কমে হতে পারে ৩৯।অথচ জনসংখ্যার নিরিখে উত্তর ভারতের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। উত্তরপ্রদেশে যেখানে লোকসভার বর্তমান আসন ৮০ তা ২০২৬ সালে পুনর্বিন্যাসে বেড়ে হতে পারে ৯৪-এ। বিহারে ৪০ থেকে বেড়ে হতে পারে ৫১, মধ্যপ্রদেশ ২৯ থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৩৪, মহারাষ্ট্র ৪৮ থেকে বেড়ে ৫০ এবং রাজস্থান ২৫ ছাড়িয়ে ৩২-এ ঠেকতে পারে আসন। আর এতে করে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে আসন ও জনসংখ্যার এই বৈষম্য বাড়াতে পারে দ্বন্দ্ব। তারই আভাস মিলতে শুরু করেছে রাজনীতিতে। তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে
প্রধান স্ট্যালিন এই ইস্যুতেই শনিবার দক্ষিণ ভারতীয় মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। ডাক দিয়েছেন ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের।
স্ট্যালিনদের আশঙ্কা জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে দেশে হিন্দীর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চায় বিজেপি। আর এই ইস্যুতেই জাতীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ফের তরতর করে বাড়ছে। আরএসএস ইতিমধ্যেই এক বিবৃতিতে বলেছে, স্ট্যালিনের মতো নেতারা দেশে উত্তর-দক্ষিণ বিভাজনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দেশে ৫০ বছর আগেও লোকসভার আসন ৫৪৩টি ছিল। এখনও নিশ্চয় সেটা অব্যাহত থাকবে না। কিন্তু এই আসন বৃদ্ধির সূচক একমাত্র জনসংখ্যা হলে উত্তর ভারত যুগ যুগ ধরে দেশকে এবং দেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। সেক্ষেত্রে অহিন্দী ভাষী রাজ্য, তাদের ভাষা, সংস্কৃতি কিন্তু প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়তে পারে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সেটাকে কোনভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দক্ষিণ ভারত যদি বর্তমানে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসের সূচক হিসাবে কম জনসংখ্যার কারণে পিছিয়ে যায় সেটা ন্যায়সঙ্গত হবে কীসের ভিত্তিতে? এই প্রশ্নই এখন দক্ষিণ ভারতের মধ্যে ঘুরেফিরে আসছে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তামিম ইকবাল।বুকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কাজ চলছিল বুলেট ট্রেন প্রজেক্টের নির্মাণের। সেই সময় বড়সড় দুর্ঘটনা। গুজরাতের ভাটভা রেল…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের সকল অংশের বেকার যুবক যুবতীদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।যাতে…
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগও করে যাবার অঙ্গীকার, কেউ আজ এ বিশ্বকে নবজাতকের কাছে করে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গাজায় নৃশংস ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল গাজার নয়া প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল বারহুমের। দায়িত্বভার নিয়েছেন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজে মাস্টার অব ডেন্টাল সার্জারি (এমডিএস) কোর্স শুরু করার জন্য…