গত সোমবার খুমুলুঙে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সমাবেশে লোক সমাগমের করুণ অবস্থা দেখে গোটা রাজ্যজুড়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে । শুধু তাই নয় , বিজেপি শাসিত একটি রাজ্যে প্রথমবারের মতো দুই দিনের সফরে এসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা একরাশ হতাশা এবং রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে গেছেন বলে খবর । বিশেষ করে খুমুলুঙে জনসভায় লোক সমাগমের হাল দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন । সব থেকে বড় কথা হচ্ছে , উপরে উপরে সব ঠিক আছে এবং ঝা চকচকে দেখালেও , দলের তৃণমূল স্তরে সংগঠনের হাল যে বেহাল বিশেষ করে দলের জনজাতি সংগঠনের ভিতটাই যে নড়বড়ে হয়ে গেছে , তা তিনি নিজের চোখেই দেখে গেছেন ।
রাজনৈতিক মহল পুরো বিষয়টিকে অন্য চোখে দেখছেন । তাদের মতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের যিনি সভাপতি , যিনি এতবড় একটি দল পরিচালনা করেন এবং সে দল দেশের ও দেশের একাধিক রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তার মতো একজন শীর্ষস্তরের নেতার কাছে পুরো বিষয়টি অপমানজনক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । খুমুলুঙে জনসভা শেষ না হতেই , খুমুলুঙে নাড্ডার সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠে । প্রশ্ন উঠে , এটা কি দলের সার্বিক সিদ্ধান্ত ? নাকি বিশেষ কোনও দলীয় ক্ষমতাবানের সিদ্ধান্তকে মোড়কে সীলমোহন দেওয়া হয়েছে ? নাকি এর পেছনে বিশেষ কয়েকজনের অন্য কোনও বদ উদ্দেশ্য কাজ করেছে ?
প্রশ্ন উঠেছে , কোথায় গেল দলের জনজাতি মোর্চার সংগঠন ? ডজন ডজন জনজাতি নেতা – নেত্রী , মন্ত্রী , বিধায়ক এমডিসি , এমপি এরা কোথায় ? কি তাদের ভূমিকা ? রাজ্য বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির দশজন জনজাতি বিধায়ক আছেন । স্ব – শাসিত জেলা পরিষদে বিজেপি দলের দশজন এমডিসির মধ্যে একজন কয়েকদিন আগে মথায় যোগ দিয়েছেন । তাকে বাদ দিলেও নয়জন এমডিসি । সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা , দলের সহ সভাপতি পাতালকন্যা জমাতিয়া । জনজাতি অন্যান্য নেতা – নেত্রীদের কথা না হয় বাদ দেওয়া গেল । কিন্তু দলের বিধায়ক , এমপি , এমডিসিরা যদি প্রত্যেকে কম করেও এক হাজার করে তাদের নিজস্ব এলাকার জনজাতি ভোটারদের নাড্ডার সভায় নিয়ে আসতেন , তাহলেও তো সংখ্যাটা নেহাত কম হয় না ।
কুড়ি থেকে বাইশ হাজার লোক সমাগম হতো । তাহলে তো ধরেই নিতে হয় , শাসক দলের জনজাতি বিধায়ক , এমপি , এমডিসি’দের এই ন্যূনতম ক্ষমতাও নেই । স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে , তাহলে কিসের জোরে এবং কোনও তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে রাজ্যে এনে খুমুলুঙে জনসভা করানো হলো ? কার এবং কাদের নাক – কান কাটার জন্য এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি প্রদেশ নেতৃত্ব ? এই দায় কি মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহা নিজেও এড়াতে পারেন ? কারণ , দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার প্রথম বারের মতো রাজ্য সফর ঠিক হওয়া থেকে শুরু করে , নাড্ডার সফর উপলক্ষে যা যা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে , তা তিনি প্রদেশ সভাপতি পদে থাকাকালীন নেওয়া হয়েছে । খুমুলুঙে নাড্ডার সভাকে সফল করার জন্য যে কুড়ি জনের সাব কমিটি করা হয়েছে , সেই কমিটির কনভেনার ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ ।
তাছাড়া জে পি নাড্ডার দুই দিনের সফর সূচিকে সার্বিক সফল করার জন্য প্রাক্তন সভাপতি ডা . মানিক সাহার নেতৃত্বে এগারোজনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল । যারা পুরো বিষয় দেখভাল করবে । সবই হলো , কিন্তু আসল কাজটি রূপায়ণে তারা কতটা সফল হয়েছে , তা গোটা রাজ্যবাসী এবং দেশবাসী দেখেছে । হাতে আর মাত্র ছয় মাস । এই সময়ের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । গত চার , সাড়ে চার বছরে জনজাতি সংগঠনের ভিত কোন্ জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে , তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে নাড্ডার সভাকে কেন্দ্র করে । সমতলেও যে খুব একটা ভালো অবস্থা রয়েছে , এমন ভাবার কোনও কারণ নেই । এখনও সময় আছে , শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে না পারলে নৌকা ডুবতে বেশি সময় লাগবে না । ফলে দায় কিন্তু সকলের ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের লাইনচ্যুত ট্রেন। ছিটকে গেছে তিনটি কামড়া। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিতলাগড় স্টেশনের কাছে।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রথম সংক্রমণের ৫ বছরের রেষ কাটতে না কাটতেই নতুন করে চিনে খোঁজ মিলেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ৫ আগস্ট হাসিনা জামানার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। তবে…
শুক্রবার মরিশাসের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আসন্ন ন্যাশনাল ডে বা জাতীয় দিবসের উদযাপনে প্রধান অতিথি…
কোনও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই বিধেয়। কারণ…
অনলাইন প্রতিনিধি:- নারী নির্যাতন কিংবা মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি…