প্রথমবার মহিলাদের টি-২০ ক্রিকেটের নকআউটে ত্রিপুরা

 প্রথমবার মহিলাদের টি-২০ ক্রিকেটের নকআউটে ত্রিপুরা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অন্ধ্রপ্রদেশের কাছে বিশ্রিভাবে ম্যাচ হেরেও প্রথমবারের মতো সিনিয়র মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রি: কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার অনন্য গৌরব অর্জন করলো অন্নপূর্ণা দাসের রাজ্যদল। হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে নাগাল্যাণ্ডই ত্রিপুরাকে প্রথমবার প্রি: কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার ইতিহাস সৃষ্টি করতে সাহায্য করলো। অন্ধ্রপ্রদেশের কাছে এ দিন জঘন্য ব্যাটিং প্রদর্শন করে রাজ্যদল কুড়ি ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে মাত্র সত্তর রানই তুলতে পারে। যার মধ্যে ঝুমকি দেবনাথ (১৮) ও অধিনায়ক অন্নপূর্ণা দাস ২৬ (অপ:) রান করে। অন্ধ্রপ্রদেশ অবশ্য নয় ওভার বাকি থাকতেই দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়। শিউলি চক্রবর্তী আঠারো রানে অন্ধ্রপ্রদেশের দুটি উইকেট তুলে। এদিকে, নাগাল্যাণ্ডের কাছে হায়দ্রাবাদ আট উইকেটে পরাজিত হওয়ায় তাদের পয়েন্ট সাত ম্যাচে ষোল থাকে। অন্যদিকে, মেঘালয়কে বাষট্টি রানে হারিয়ে দেয় উত্তরপ্রদেশ। ফলে সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ত্রিপুরার সমান হয়ে যায়। দু’দলের পয়েন্ট সমান হলেও উত্তরপ্রদেশের চেয়ে ত্রিপুরা একটি ম্যাচ বেশি জেতায় টুর্নামেন্ট কমিটি ত্রিপুরাকে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র দেয়। ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় ক্রিকেটে ত্রিপুরার মহিলা ক্রিকেটারদের অভিযান শুরু হয়। যদিও টি-টোয়েন্টি অনেক পরেই হয়। এর আগে অন্নপূর্ণার নেতৃত্বে ত্রিপুরা এলিট গ্রুপে খেললেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবারই প্রথম। অধিনায়ক অন্নপূর্ণা দাসের হাত ধরে ত্রিপুরা সিনিয়র মহিলা দল প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নকআউটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো। এদিকে, সিনিয়র মহিলা ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নকআউটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় টিসিএর নতুন কমিটির তরফে দলের জন্য দশ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। টিসিএ সচিব তাপস ঘোষ এ ঘোষণা দেন। টিসিএ থেকে এক বিবৃতিতে সচিব জানান, রাজ্য মহিলা ক্রিকেটে আজ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো অন্নপূর্ণারা। টিসিএর নতুন কমিটি মেয়েদের এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ টিমকে দশ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার দিচ্ছে। টিসিএ সভাপতি সহ সবাই মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে, সিনিয়র মহিলা ক্রিকেট দল টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের নকআউটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সিনিয়র মহিলা ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিন ত্রিপুরা দল প্রথম ব্যাট করতে নেমেই পতনের মুখে পড়ে যায়। দলীয় মাত্র ২৯ রানের মধ্যে ইন্দ্ররাণী জমাতিয়া (০), মৌচৈতি দেবনাথ (৫), রিজু সাহা (৩), ঝুমকি দেবনাথ (১৮) সাজঘরে ফিরে যায়। অন্নপূর্ণা দাস ও মৌটুসী দে মিলে ৩৫ বলে ২১ রান করায় স্কোর ৫০/৫ পৌঁছে। এরপর অন্নপূর্ণার ২৬ (২৮) দৃঢ়তায় স্কোর ৭০/৭ পৌঁছে। অন্ধ্রপ্রদেশের পক্ষে শবনম (১৭/২) ও পদ্মজা (১১/২) উইকেট পায়। টার্গেট স্কোর মাত্র ৭১। অন্ধ্রপ্রদেশ দুই উইকেট হারিয়ে এগারো ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয়। অনুসা (২৪) ও হিমা বিন্দু (১৯) অপরাজিত থেকে যায়। শিউলি চক্রবর্তী (৩-০-১৮-২)। এদিকে, হায়দ্রাবাদ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করলে নাগাল্যাণ্ড ১৮.৫ ওভরে ২ উইকেটে ১৩১ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। ওপেনার পিএন খেমনার ৬৫ বলে ৭৪ রান একাই হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে দেয়। অন্য ম্যাচে উত্তরপ্রদেশ ২০ ওভারে ১৪৬/৩ করলে মেঘালয় ৮৪/৯ থেমে যায়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.