প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিলেন আশিষ!!
অনলাইন প্রতিনিধি || প্রত্যাশিত ভাবেই পোস্ট অফিস চৌমুহনীর কংগ্রেস ভবনের দখল নিলো বর্মণ গোষ্ঠী। সোমবার সকাল দশটায় সুদীপ বর্মণ অনুগামী নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহন করলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, প্রাক্তন বিধায়ক দিবা চন্দ্র রাংখল সহ অন্যান্যরা। স্বাভাবিক ভাবেই দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না সদ্য প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, বিধায়ক গোপাল রায় সহ বীরজিৎ গোষ্ঠীর কোনও কোনও নেতা -নেত্রী এবং কর্মীরা। অপরদিকে বিধায়ক গোপালচন্দ্র রায় এবং বিরোজিৎ সিনহার কোন অনুগামীকে এ দিন কংগ্রেস ভবনে দেখতে পাওয়া যায়নি। কথায় আছে, রাজনীতিতে সবি সম্ভব। নীতি, আদর্শের এখন কেউই ধার ধারে না। যে নেতা কর্মীরা আজ থেকে কয়েক বছর আগে এই কংগ্রেস ভবনে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে। প্রকাশ্যে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর ছবিতে জুতো পেটা করেছে, তারাই ফের এখন কংগ্রেস ভবনের দখল নিয়ে রাহুল, সোনিয়ার ছবিতে শতবার প্রণাম করছেন। তাদের নাম দিনভর ইস্ট নামের মতো জপ করছেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, তৃণমূল থেকে বিজেপি, বিজেপি থেকে ফের কংগ্রেস চার বারের দল বদলু নেতা আশিষ সাহাকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে নিযুক্তি দেওয়ার সাথে সাথে রাজ্য কংগ্রেসের দুর্দিনের নেতা কর্মীদের মধ্যে এমনিতেই ব্যপক ক্ষোভ বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশিষ সাহার পক্ষে খুবই কঠিন হবে দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে তিনি যে শুধু রাবার স্ট্যাম্প,তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। দলের নীচ থেকে উপর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে সুদীপ রায় বর্মণের হাতে। এটা এক প্রকার স্পষ্ট। সোমবার তাঁর একান্ত অনুগত ছায়াসঙ্গী আশিষ সাহার দায়িত্ব ভার গ্রহণের দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা না বললেও , বকলমে যে তিনিই যে রাজ্য কংগ্রেসকে পরিচালিত করবেন, তা সুদীপ বাবুর হাব ভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে।