প্রদ্যুতের সৈনিক মথা নেতা কমলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে!!
অনলাইন প্রতিনিধি || এক সময় ছিলেন প্রয়াত বাম নেতা গৌতম দাসের এবং মেলারমাঠের খুবই আস্তাভাজন। এই সুযোগ নিয়ে বাম আমলেই অবৈধ ভাবে প্রচুর টাকা কামানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই দূর্নীতির কারণেই এক সময় মেলারমাঠ মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সেই সময় যুক্ত ছিলেন মিডিয়ার সাথে। কিন্তু তাঁর ধান্ধা ছিলো অনৈতিক রোজগারের প্রতি বলে অভিযোগ। শেষে সুযোগ বুঝে গত এডিসি নির্বাচনের আগে জামা বদল করে প্রদ্যুতের শ্মরণাপর্ণ হন কমল কলই। রাত দিন রাজবাড়ীতে হত্য দিয়ে পড়েছিলেন। নিজেকে সংবাদ জগতের বিশাল কিছু দাবি করে, প্রদ্যুত কিশোরকে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নেন এডিসির টিকিট। গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড এবং জনজাতি সেন্টিমেন্টকে হাতিয়ার করে ভোটে জিতেও যান। প্রদ্যুত কিশোর তাঁকে এডিসির স্বাস্থ্য সহ আরও একাধিক দপ্তরের কার্যনির্বাহী সদস্য করে। ফলে আর যায় কোথায়। কমল কলই হাতির পাঁচ পা দেখতে শুরু করেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার বনদপ্তরের জমি বেআইনি ভাবে দখল করে তাতে ব্যক্তিগতভাবে রিসোর্ট তৈরি করে ব্যবসা পেতে বসেছেন কমল কলই। ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য কমল কলই কে একদিন আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বনদপ্তর থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। প্রত্যন্ত নোনা ছড়াতে অবস্থিত মনথাং ভ্যালি এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে একটা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ভালো সংখ্যক মানুষ এই মনথাং ভ্যালির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটে আসেন। বন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন এই জায়গার বন আইনকে তোয়াক্কা না করে বর্তমান উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য কমল কলই ব্যক্তিগত রিসোর্ট তৈরি করে, অর্থ কামাই করছেন। বেআইনি ভাবে প্রচুর গাছ ও মাটি কাটারও অভিযোগ রয়েছে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন বিভাগের তরফে আগামী ১৪ জুনের মধ্যে কমল কলই কে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই বিষয় বিস্তারিত জানান, তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন আধিকারিক সাবির কান্তি দাস।