প্রধানমন্ত্রীর দিশাতে চলছে রাজ্য সরকার : মুখ্যমন্ত্রী!!

 প্রধানমন্ত্রীর দিশাতে চলছে রাজ্য সরকার : মুখ্যমন্ত্রী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে জন সচেতনতা বাড়ানো ও জন অংশীদারি বাড়ানোর উদ্দেশে ত্রিপুরার বিভিন্ন শহর এলাকা, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিতে চলছে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। ভ্রাম্যমান সচেতনতা গাড়ি বা আইইসি ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য প্রচার সহ বিভিন্ন পরিষেবা শিবিরের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজে এই অভিযান চলছে।এরই অঙ্গ হিসেবে আজ ডুকলি ব্লকের উদ্যোগে সূর্যমণিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হয় বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেছেন,২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে বিকশিত করতে হবে। সংকল্প যাত্রার সুফল পেতে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।বিকশিত ভারত তখনই সম্ভব হবে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন প্রকল্পগুলি দেশ ও রাজ্যের প্রান্তিক ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে।তিনি আরও বলেন, মানুষকে আত্মনির্ভর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেখানো দিশাতেই বর্তমান রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করা ও সরকারের ফ্ল্যাগশিপ স্কিমগুলি মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার অন্য একটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় গোমতী জেলার টেপানিয়া আরডি ব্লকের শালগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতস্থিত শালগড়া কমিউনিটি হলে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন,বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার উদ্দেশ্য হচ্ছে, গোটা দেশের সমস্ত অংশের মানুষ যেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়।আর সেই লক্ষ্যেই মোদি গ্যারান্টির আইইসি ভ্যান ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে আপনাদের মধ্যে। শ্রীমতী ভৌমিক আরও বলেন, ভারতের প্রত্যেক জনতার বিকাশ হলেই বিকশিত ভারত হবে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছানোর লক্ষ্যেই এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছেন।দেশের মহিলা, যুবক, শ্রমিক, কৃষকদের উত্থান এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯-১০ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন, বলেন শ্রীমতী ভৌমিক।এদিকে, শনিবার দক্ষিণ জেলার বকাফা ব্লকের গাদ্দাং ও কাঞ্চননগর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হয় বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচি।গাদ্দাং পঞ্চায়েত মাঠে বিকাশ মেলার উদ্বোধন করেন বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং।এছাড়াও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় শনিবার সিপাহিজলা জেলার বিশালগড় পুর পরিষদ এলাকা ভিত্তিক বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিশালগড় টাউন হলে আয়োজিত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করে এলাকার বিধায়ক সুশান্ত দেব।তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে অতি সহজে সরকারী পরিষেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যেই রূপায়িত হচ্ছে এই কর্মসূচি।রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য হলো সরকারী সুযোগ-সুবিধা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া।পাশাপাশি ধলাই জেলার উত্তর ও দক্ষিণ দামছড়ায়ও অনুষ্ঠিত হয় বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচি।সূর্যমনিনগর গ্রাম পঞ্চায়েত, শালগড়া কমিউনিটি হল, দক্ষিণ জেলার বকাফা ব্লকের গাদ্দাং ও কাঞ্চননগর গ্রাম পঞ্চায়েত, বিশালগড় পুর পরিষদ, ধলাই জেলার দক্ষিণ ও উত্তর দামছড়াসহ প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র।উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা,সোয়েল হ্যালথ কার্ড, আয়ুষ্মান কার্ড, মহিলা স্বসহায়ক দলকে আর্থিক ঋণ প্রদান, দিব্যাঙ্গাজনদের চলার জন্য বিভিন্ন সামগ্রীসহ অন্যান্য সরকারী সুবিধা অনস্পট তুলে দেওয়া হয় বেনিফিসিয়ারিদের হাতে।

শনিবারের বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.