প্রধানমন্ত্রীর মতে ঐতিহাসিক বাজেট
বিরোধী দলগুলি বাজেট নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, মহিলা, যুবদের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এতে মানুষের উপকার হবে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, এই বাজেট দরিদ্র অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য এবং এতে শ্রমিক শ্রেণীর জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলের জন্য নয় গুণ বেশি বাজেটের সংস্থান করায় নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা বাড়বে। চলতি বছরের বাজেটকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সর্বোপরি হিসেবে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আত্মনির্ভর ভারত হওয়ার পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে এই
বাজেট। ট্যাক্স রিবেট লিমিট ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করার মাধ্যমে মধ্যজীবী এবং বেতনভূক্ত কর্মচারী শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হবেন।তবে চলতি বছরের বাজেটে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া মন্তব্য ‘কোনও ভবিষ্যদের্শী নয়, পুরোটাই সুবিধাবাদী বাজেট। এই বাজেটে কোনও আশার আলো নেই। বাজেটে বেকারদের জন্য কিছু নেই। একে গরিব বিরোধী বাজেট বলেন তিনি। সরকারের মিত্রকালের বাজেট ভারতের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে কোনও রোডম্যাপ দিতে সক্ষম হয়নি বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এমনকী মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কোনও সুস্পষ্ঠ পরিকল্পনা নেই এই বাজেটে। এই বাজেট বাস্তবমুখী
নয় বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, এই বাজেটে বড় বড় ঘোষণায় শুধু করা হয়েছে যার কোনও সারবত্তা নেই। এদিকে কয়েকটি আঞ্চলিক দল চলতি বছরের বাজেটে রাজ্যগুলোর সাথে বঞ্চনা এবং ভেদাভেদ করার অভিযোগ এনেছে। ডিএমকে, শিবসেনা, বিজেডি এবং বাম দলগুলো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের সম্পদ লুট করার অভিযোগ এনেছে। জিডিপির অংশ হিসেবে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়তে চলেছে রাজ্যগুলো।এই কথা জানান বিজেডি নেতা অমর পট্টনায়েক। ডিএমকে নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দয়ানিধি মারান বলেন, কেন্দ্র সব টাকা নিয়ে রাজ্যগুলোকে কিছুই না দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা বলেন, পুরো কনফিউশান বাজেট। ভোটকে মাথায় রেখে বানানো এই বাজেট পুরোটাই বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যুবাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং ধনীতম ব্যক্তিদের উপর কর আরোপ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উপর লাগাম টানার আহ্বানও জানান তিনি।