প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে রাজ্যে এলো বুলেট প্রুফ গাড়ি, জ্যামার
আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে রাজধানী আগরতলা সহ গোটা রাজ্য জুড়ে ব্যাপক তৎপরতা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তিনটি বুলেট প্রুফ গাড়ি এবং একটি জ্যামার গাড়ি আগরতলায় আনা হয়েছে। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সুচিও প্রশাসনের হাতে এসে পৌঁছেছে। যতটুকু জানা গেছে, ১৮ ডিসেম্বর সকালে দিল্লী থেকে বিশেষ বিমানে গুয়াহাটি যাবেন। গুয়াহাটি থেকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে শিলং যাবেন। শিলংয়ে আয়োজিত নর্থইস্ট কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবেন । বৈঠকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও থাকবেন। বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রী পুনরায় হেলিকপ্টারে গুয়াহাটি যাবেন। গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বিমানে দুপুরে আগরতলায় আসবেন। আগরতলায় কর্মসূচি শেষ করে বিশেষ বিমানে দিল্লী ফিরে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গোটা রাজধানীর নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। গোয়েন্দা ও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবারই দুপুরে রাজ্যে এসপিজির ছয় আধিকারিক আগরতলায় চলে এসেছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি তারাই মূলত দেখভাল করছেন। এসপিজির নির্দেশ মোতাবেক নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত রাস্তায় বিশেষ নজরদারি শুরু করা হয়েছে। সেই সাথে রাত-দিন বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ চলছে। বিমানবন্দরে রাস্তার একাধিক জায়গায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বড় তোরণ বসানো হচ্ছে।পাশাপাশি চলছে দলীয় প্রচারসজ্জাও। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে । বুধবার থেকেই সারা শহর জুড়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে দলীয় স্তরে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আস্তাবল ময়দানে পঞ্চাশ হাজার মানুষের সমাগমের লক্ষ্য নিয়ে দলীয় কার্যকর্তারা একেবারে বুথ লেভেল থেকে প্রচার শুরু করেছেন। ১৮ডিসেম্বরের জন্য ইতিমধ্যে ধর্মনগর ও সাব্রুম থেকে লোক আনার জন্য বিশেষ ট্রেনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে খবর। তাছাড়া এদিন প্রায় সব ধরনের যানবাহনও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।