প্রবল ঝড়ে পার্কিং জোনে গাছ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ বাইক
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || আচমকাই বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরের উপর দিয়ে ক্ষণিকের প্রবল ঝড়ের তাণ্ডব হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে শুধুমাত্র বিমানবন্দরের পার্কিং প্লেসে বড় একটা কৃষ্ণচূড়া পুরো গাছটাই ভেঙে উপড়ে পড়ে। গাছটি পার্কিং প্লেসে রাখা বাইক ও স্কুটির উপর পড়ায় বাইক-স্কুটি মিলে সতেরোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পার্কিং প্লেসে রাখা বাইক ও স্কুটির উপর পুরো গাছটি উপড়ে পড়ায় চার-পাঁচটি বাইক ও একটি স্কুটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে তখন গাছের কাছে কেউ না থাকায় কোনও প্রাণহানি বা আহত হয়নি। বাইক ও স্কুটিগুলি এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে এই বাইক ও স্কুটি আর কোনও কাজে লাগবে না— এমনটাই জানিয়েছে বিমানবন্দর সূত্র । তাছাড়া আরও বারো-তেরোটি বাইকেরও বেশ ভালোই ক্ষতি হয়েছে। গাছের চাপায় বাইক ও স্কুটিগুলি দুমড়েমুচড়ে যায় ৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাইকগুলির মধ্যে ইণ্ডিগোর কমার্শিয়াল কর্মচারীর তিনটি ও ইণ্ডিগোরই শ্রমিকের দুটি বাইক রয়েছে।
তাছাড়া এয়ার ইণ্ডিয়া, আকাশ এয়ারের গ্রাউণ্ড স্টাফের (বার্ড) সহ অন্যান্য এয়ারলাইন্স ও সাধারণ মানুষের বাইক ও স্কুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাইক, স্কুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাইক ও স্কুটির ক্ষুব্ধ মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। রাতে ক্ষতিগ্রস্তরা বিমানবন্দর থানায় এফআইআর করেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাইক ও স্কুটির মালিকদের বক্তব্য হলো তারা এয়ারপোর্ট অথরিটির জায়গায় পার্কিং প্লেসের পার্কিংয়ের টাকা দিয়ে বাইক ও স্কুটি রেখে বিমান পরিষেবার কাজ করতে যান। এয়ারপোর্ট অথরিটির পার্কিং প্লেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলো বেসরকারী একটি সংস্থা। তাই এয়ারপোর্ট অথরিটি ও পার্কিং প্লেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত বাইক ও স্কুটির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পার্কিংয়ের টাকা নেওয়া বেসরকারী সংস্থাটির বক্তব্য হলো, এয়ারপোর্ট অথরিটিরই এই বিষয়টি দেখার কথা। তবে এই বিষয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটির বিমানবন্দর প্রধান তথা অধিকর্তা কে সি মিনাকে প্রশ্ন করা হলে জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বাইক ও স্কুটির ক্ষতি হয়। তিনি জানান, তখন যে ঝড় আসে তার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার। এয়ারপোর্ট অথরিটির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এমন নিয়ম চালু আছে কিনা তা তিনি জানেন না বলে জানান। বিমানবন্দর অধিকর্তা জানান, গাছের চাপায় তিনটি বাইকের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আরও বাইক ও স্কুটির ক্ষতি হয় দশ-বারোটি বলে তিনি জানান।এদিকে যে কৃষ্ণচূড়া গাছটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছে সেই গাছটি বহুদিন ধরে রুগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বলে অভিযোগ। বিমানবন্দর অথরিটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ রুগ্ন গাছটি কেটে সরিয়ে ফেলার কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় গাছটি ভেঙে এই বিপত্তি ঘটে বলেও অভিযোগ। পার্কিং প্লেসের আশেপাশে আরও কয়েকটি গাছও বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই গাছগুলি কেটে সরিয়ে না নেওয়া হলে আবারও ঝড়ে বিপদ ঘটতে পারে বলেও জানা গেছে। তবে ঝড়ের সময় বিমানবন্দরের আকাশে কোনও বিমান না থাকায় বা তখন কোনও বিমান ওঠানামা না করায় উড়ানে বিপত্তি ঘটেনি।