প্রবীণতম ইঁদুর, প্যাটের নাম গিনেসে
ইঁদুরের গড় আয়ু দুই বছরেরও কম। কিন্তু,এই ইঁদুরটির সঙ্গে পরিচয় করুন।ইনি হলেন মুষিক সমাজের ‘পিতামহ ভীষ্ম’।তদুপরি সে ইঁদুরকূলে আজ রীতিমতোচ সেলিব্রিটি। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ইঁদুর হিসাবে ইতিমধ্যে সে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছে গিনেস বুকে। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই ইঁদুরটির বয়স ছিল ৯ বছর ২১০ দিন।এই তারকা ইঁদুরের নাম প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট। অনেকে আদর করে তাকে প্যাট বলে ডাকে। গিনেস বুক বলছে, আজ পর্যন্ত এটাই বিশ্বের প্রবীণতম জীবিত ইঁদুর। প্যাট্রিকের আগে, সবচেয়ে বয়স্ক ইঁদুরের রেকর্ড ছিল ফ্রিটজির। ফ্রিটজি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিল। ৭ বছর ২২৫ দিন বেঁচে থাকার ফ্রিটজি মারা যায়। ব্রিটেনের ব্রিজেট বিয়ার্ডে নামে এক ব্যক্তি ফ্রিটজিকে পুষেছিলেন। ফ্রিটজি ছিল ধেড়ে ইঁদুর, আকৃতিতে বড়।সেখানে ৯ বছর ২১০ দিনের প্যাট্রিক ‘প্যাসিফিক পকেট মাউস’ প্রজাতির। এটি উত্তর আমেরিকার ইঁদুরের ক্ষুদ্রতম প্রজাতি হিসাবে বিবেচিত হয় ৷ এক সময় এই প্রজাতির ইঁদুরকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে পকেট মাউসের একটি ক্ষুদ্র বংশ পুনরায় আবিষ্কৃত হয়। তবে যে প্রজাতির ইঁদুর প্যাট্রিক, তাদের এমনিতে গড় আয়ু এক থেকে দুই বছর। খাঁচায় রাখা হলে তা বেড়ে হয় চার থেকে বড়জোর ছয় বছর। তবে প্যাট্রিক তার জ্ঞাতি-গুষ্টির থেকে আলাদা। সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো
চিড়িয়াখানায় নয় বছরেরও বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছে। প্যাট্রিক জন্ম থেকেই এই চিড়িয়াখানায় আছে।২০১৩ সালের ১২ জুলাই সান দিয়েগো চিড়িয়াখানায় তার জন্ম। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা প্যাট্রিক স্টুয়ার্টের সম্মানে এর নামকরণ করা হয়েছিল। সান দিয়েগো চিড়িয়াখানার কর্মকর্তাদের মতে, ছোট প্রজাতি সাধারণত উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু, প্যাট্রিকের বিশ্ব রেকর্ড করা সবার জন্য গর্বের বিষয়। চিড়িয়াখানায় প্যাট্রিক এখন আকর্ষণের কেন্দ্র। ইঁদুর পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে প্রথম, যাকে পৃথিবী থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। এরা জল ছাড়া উটের চেয়েও বেশি দিন বাঁচতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও ইঁদুর ব্যবহার করা হয়। বাস্তুতন্ত্রে তাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটা অন্য কথা যে ইঁদুরের উপদ্রবের কারণে মানুষ তাদের বাড়িতে অস্বস্তিতে পড়ে।