প্রমাণ নেই, তদন্ত হবে : কেন্দ্র ; কোউইন-এ ডেটা ফাঁসে শোরগোল।
অনলাইন প্রতিনিধি || কোভিড প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সরকারী অ্যাপ কোউইনে নাম নথিভুক্ত করার দরকার হয়েছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের পর তৃতীয় ভ্যাকসিনের সময়ও একইভাবে কোউইন অ্যাপের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা ছিল বাধ্যতামূলক।২০২১ সালের পর ক্রমেই কোভিডকাল স্তিমিত হয়ে যায়। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড ফ্রি সময় হিসেবেও ঘোষণা করেছে সাম্প্রতিক কয়েক মাস আগেই।এই অবস্থায় হঠাৎ জানা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের কোভিড ডেটা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে জানা যাচ্ছে দেশবাসীর তাবৎ তথ্য। আধার কার্ড থেকে জন্ম তারিখ। পাসপোর্ট অথবা ভোটার কার্ড। সবই প্রকাশিত হয়ে পড়েছে নানাবিধ ওয়েবসাইটে। সোমবার এ নিয়ে প্রবল হৈচৈ শুরু হয়। সরকারকে আক্রমণ করে বিরোধীরা।এমনকী দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও এ নিয়ে তুমুল জলঘোলা শুরু হয়েছে। কারণ, সাধারণ মানুষ তো বটেই, তার সঙ্গেই আবার পি চিদাম্বরম থেকে ডেরেক ও ব্রায়ান অথরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার তথ্যও একইভাবে প্রকাশ্য হয়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে একটি বৃহত্তর চক্রান্তের অভিযোগ করা হয়েছে।অন্যদিকে এ নিয়ে আলোড়ন তৈরি হওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে,প্রথম কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করার জন্য সামগ্রিক ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার দরকারই হয়নি। আধার কার্ড নম্বর থেকেই ওই রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই তথ্য অথবা ডেটাও কীভাবে ফাঁস হল এবং কোনও সাইবার আক্রমণের শিকার এই অ্যাপ হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, সরাসরি কোটইন আপে থেকে কোনও তথ্য ফাঁস হয়েছে এরকম প্রমাণ মেলেনি। এর আগে পেগাসাস নামক একটি সফটওয়্যার দিয়ে বিরোধী নেতাদের মোবাইল ফোনে লাগাতর নজরদারি করা হয়েছে এবং দেশবাসীর ফোনেও একইভাবে নজরদারি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে তোলপাড় চলে জাতীয় রাজনীতিতে। ইজরায়েলের সংস্থাকে এরকম বরাত দেওয়া হয়েছিল এই তথ্য প্রকাশ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি।এবার ওই একই ধাঁচে দেশবাসী ও বিরোধী নেতাদের ব্যক্তিগত পরিসরে সরকার যে হস্তক্ষেপ করছে এবং কোনও এক অজ্ঞাত কারণে দেশবাসীর তাবৎ তথ্য প্রকাশ্যে চলে যাচ্ছে সাইবার দুনিয়ায় এই অভিযোগ ঘিরেও মামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে দেশবাসীর ডেটা কর্পোরেট ও অনলাইনে বাণিজ্য মহলের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।