রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডা. জাফরুল্লাহ
বাংলাদেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মনিটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হয়। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই চরম অসুস্থ ছিলেন। শেষ কয়েকদিন তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবসান হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় ওষুধ নীতির এক রূপকারের কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনের। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের এক দিশারী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। জনস্বার্থ কেন্দ্রে রেখে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তার উদ্যোগ, সমাজভিত্তিক জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির রূপরেখা হাজির করা দেশপ্রেমিক হিসেবে তার অবদানের একেকটি মাইলফলক। জাতীয় দুর্যোগ ও রাজনৈতিক সঙ্কটে তিনি সর্বদাই নির্ভীক থেকে সত্য বলে গেছেন, প্রতিবাদী হয়েছেন,পথ দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আবির্ভাব ছিল নাটকীয় ও বীরত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে বিলেতের অভিজাত প্রতিষ্ঠান থেকে সার্জন হওয়ার সুযোগ ছিঁড়ে ফেলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সেই ঘটনা দেশ-বিদেশে স্মরণীয় হয়ে আছে। তিনিই আবার রণাঙ্গণের একটু পেছনে ত্রিপুরার মেলাঘরে সীমান্তে প্রতিষ্ঠা করেন মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। সেটাই প্রথম কোনও হাসপাতালের নামে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি যুক্ত হয়। সেই যুদ্ধ হাসপাতালই স্বাধীন বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল নামে এখনও সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শুধু নিজেকেই দেশের সেবায় নিয়োজিত করেননি, উদ্বুদ্ধ করেছেন আরও একগুচ্ছ মানুষকে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন। মা বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ঢাকার বক্সিবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।