অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যে
নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে ব্যবহার করে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ অধিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারলেও ত্রিপুরা সেই সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে না। কেননা, এই ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনগুলির মাধ্যমে যে পরিমাণ আমদানি হচ্ছে, রপ্তানি সে তুলনায় একেবারেই নগন্য। গত ২৭ মার্চ রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে সিপিএম বিধায়ক নির্মল বিশ্বাসের উত্থাপিত এই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন, তাতেই বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের উদ্বেগজনক পরিস্থিতিটা প্রকাশ্যে এসেছে।
গত তিন বছরে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের যে পরিসংখ্যান শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী বিধানসভায় দিয়েছেন,তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে ৭৬৭ কোটি টাকা। ওই একই অর্থ বছরে ত্রিপুরা থেকে বিভিন্ন সামগ্রী বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়েছে ২৪১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে আমদানি হয়েছে ৬৩৬ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার সামগ্রী। ওই বছরে ত্রিপুরা থেকে রপ্তানি হয়েছে ১২১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার সামগ্রী।২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে আমদানি হয়েছে ৭০৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার সামগ্রী। ওই একই অর্থ বছরে ত্রিপুরা থেকে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১২ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সামগ্রী।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের
মধ্যে ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনভিত্তিক আমদানি রপ্তানি হয়েছে। আগরতলা ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনে আমদানি ৩৩১ কোটি ৭৫ লক্ষ, রপ্তানি ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। শ্রীমন্তপুর ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন দিয়ে আমদানি হয়েছে ১০৮ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার সামগ্রী। মুহুরীঘাট ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন দিয়ে আমদানি হয়েছে ৬৫ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার সামগ্রী আর রপ্তানি হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকার সামগ্রী। খোয়াই ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন দিয়ে আমদানি হয়েছে ২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকার সামগ্রী, আর রপ্তানি শূন্য। ওল্ড রাঘনা বাজার ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন দিয়ে আমদানি হয়েছে ১৩ কোটি ৮ লক্ষ টাকার সামগ্রী, রপ্তানি হয়েছে ৯৫ লক্ষ টাকার সামগ্রী। মনু ল্যান্ড কাস্টম দিয়ে আমদানি হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার সামগ্রী, আর রপ্তানি হয়েছে ৩৯ লক্ষ টাকার সামগ্রী। এক কথায়, আমদানির তুলনায় রপ্তানি একেবারে তলানিতে।
বাংলাদেশ থেকে মূলত আমদানি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাছ, সিমেন্ট, এলপিজি, পিভিসি ডোর এবং পাইপ, বিভিন্ন ধরনের পানীয় দ্রব্য, প্লাস্টিকের সামগ্রী, আসবাবপত্র, কাঠ এবং ধাতুর আসবাবপত্র তুলোর আবর্জনা ইত্যাদি।
অপরদিকে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে ভাঙা পাথর, মসুর ডাল, ভুট্টা, শুকনামরিচ, কাঁচা আদা, জিরা, বেল ইত্যাদি। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো বৈধভাবে ত্রিপুরা থেকে যেসব সামগ্রী বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে, তার চাইতে কয়েকগুণ বেশি অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিনি, কাপড় এবং ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ইত্যাদি। শত চেষ্টা করেও এই পাচার বাণিজ্য প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না, যাবেও না। কারণ সর্ষের মধ্যেই ভুত লুকিয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে সিমেন্ট আমদানি করা গেলে, ত্রিপুরা থেকে চিনি কেন বাংলাদেশ রপ্তানি করা যাবে না?
এটি একটি উদাহরণ মাত্র।তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে যে অস্থির পরিস্থিতি চলছে, তাতেও ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে যেভাবে ভারত বিরোধী মনোভাব বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে একাংশ জনগণের মধ্যে, তাতেও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।বিশেষ করে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশকে যে পথে নিয়ে যেতে চাইছে, তাতে আগামী দিনে এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে? তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য,যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহণ, শিল্পের প্রসার ইত্যাদি যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল, সেইসব পরিকল্পনা এখন বড়সড় প্রশ্নের মুখে। এর দুটি উদাহরণ তুলে ধরলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। যেমন সাব্রুমের মৈত্রী সেতু এবং আইসিপি। বহু আগে উদ্বোধন হয়ে গেলেও আজও চালু হয়নি।তেমনি আখাউড়া – আগরতলা রেল প্রকল্প। আজও ঝুলে আছে।সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের উদ্বেগ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল এপ্রিল মাসের শেষে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেবার নাম করে ডা. সোমা চৌধুরী নামে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা টিএফএর সংবিধান সংশোধন করার নামে নিজেদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এডিসির ৩০২ টি স্কুলে শিক্ষক ১ রয়েছে।জাতীয় স্তরে প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র- শিক্ষকের অনুপাত…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বামফ্রন্টের টানা ২৫ বছরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের কোনও উন্নয়নই হয়নি। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে…
একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। কথাটা বোধহয় এক্ষেত্রে একেবারে যথার্থভাবে ধ্বনিত হয়।গত কয়দিন ধরেই…