অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে বহু সংস্কার করেছে।তারপরও ছাত্রদের প্রাইভেট টিউশনের দিকে ঝোঁক রয়ে গেছে।কেন এমনটা হচ্ছে এ নিয়ে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।শনিবার কুঞ্জবনস্থিত স্টেট কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটির নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন ও শিক্ষক আবাসনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এমনটাই বলেছেন।তিনি এদিন এসসিইআরটি সহ শিক্ষা দপ্তরকে প্রাইভেট টিউশন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতেও বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের।পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের ন্যায়বোধ,
নীতিশিক্ষা, শিষ্টাচার, মূল্যবোধের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে গড়ে তুললে একটি সুস্থ সমাজও গড়ে উঠবে। ফলে আদর্শ সমাজ গঠনে শিক্ষক সমাজের দায়িত্ব অপরিসীম।উল্লেখ্য,৪০ শয্যা বিশিষ্ট শিক্ষক আবাসনটি তৈরিতে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা এবং অ্যাকাডেমিক ভবনটি তৈরিতে ৬ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।দুটি ভবন নির্মাণের দায়িত্বে ছিল গ্রামোন্নয়ন দপ্তর।
উদ্বোধকের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,দেশ বা রাজ্য কোন দিশায় এগোবে তা জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে শিক্ষকদের উপর অনেকাংশ নির্ভর করে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাচীনকালে ভারতে নালন্দা, তক্ষশীলার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিক্ষার এই সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছেন।২০১৪ সালে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই প্রায় ৩৪ বছর পর দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়।শিক্ষা, উদ্ভাবন ও গবেষণার গুণগত মান উন্নত করার উদ্দেশ্যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, রাজ্যের শিক্ষা সংস্কার ও গবেষণার কাজটি এনসিইআরটি গুরুত্ব সহকারে করে যাচ্ছে।নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে পাঠক্রম তৈরি করার ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরার এসসিইআরটি প্রশংসনীয় কাজ করছে। শিক্ষকদের গুণগত পাঠদানে দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও এসসিইআরটি গুরুত্ব সহকারে করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এনসি শর্মা, ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ডা. ধনঞ্জয় গণচৌধুরী এবং এসসিইআরটি-র অধিকর্তা এল ডার্লং।অনুষ্ঠান মঞ্চে শিক্ষকদের হ্যান্ডবুক ‘রিসার্চ কমপ্লিশন বুক, বহুভাষিক পুস্তিকা ঐকতান এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নতুন পাঠ্যপুস্তকের আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী।এছাড়াও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ও সিপাহিজলা জেলার জেলা শিক্ষা আধিকারিকের হাতে ই-ক্লাসের হার্ড ডিস্ক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…
অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…
রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…