প্রিপেইড পরিষেবা চালুতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

 প্রিপেইড পরিষেবা চালুতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অটো চালকদের অসন্তোষে ও একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তে আচমকাই বন্ধ হয়ে যাওয়া আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে প্রিপেইড অটো/ট্যাক্সি (ফোর হুইলার) গাড়ি পুনরায় চালু করার বিষয়ে শুক্রবার মহাকরণে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরিবহণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের পৌরোহিত্যে আয়োজিত বৈঠকে পরিবহণ দপ্তরের সচিব, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, জেলার ট্রাফিক সুপার, পর্যটন দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা, আগরতলার রেলের চিফ কমিশনার ইন্সপেক্টর সহ অন্যান্য আধিকারিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মহাকরণে পরিবহণ মন্ত্রীর অফিসে বৈঠকে বিমানবন্দরে পুনরায় শীঘ্রই প্রিপেইড অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির পরিষেবা চালু করার বিষয়ে পাঁচ জনের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। পরিবহণ সচিবকে প্রধান করে কমিটিতে রাখা হয়েছে জেলাশাসক, জেলার এসপি, পর্যটন দপ্তরের এমডি এবং বিমানবন্দরের অধিকর্তাকে। পরিবহণ সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি বিমানবন্দর সহ আগরতলা রেলস্টেশন ও যোগেন্দ্রনগর রেলস্টেশনে প্রিপেইড অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির পরিষেবা চালুর বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখবে। অটোর সিণ্ডিকেট, ফোর হুইলার গাড়ির সিণ্ডিকেট, গাড়ির মালিক, বিমান যাত্রী সহ সব বিভাগেই কথা বলবে কমিটি। বৈঠকের পর বিকালে পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় জানান, এই কমিটি আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে তার কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। এই কমিটি অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির শ্রমিক, মালিক, বিমান যাত্রী সকলের স্বার্থরক্ষায় রিপোর্ট তৈরি করবে। পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ করা হলে সেই রিপোর্ট পরিবহণমন্ত্রী দেখে রিপোর্ট কার্যকর করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠাবেন। রিপোর্ট কার্যকর করতে রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া গেলেই বিমানবন্দর সহ আগরতলা রেল স্টেশন ও যোগেন্দ্রনগর রেলস্টেশনে প্রিপেইড যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হবে। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরে প্রিপেইড অটো/ফোর হুইলার গাড়ির পরিষেবা চালুর পর দুই অক্টোবর পুনরায় সিএনজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সেদিন পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে কোনও কথা না বলে ও দাবি নিয়ে কোনও সময় না দিয়ে আচমকা অটো চালকরা প্রিপেইড যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। অটো চালকদের এই ভূমিকায়পরিবহণ মন্ত্রী প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন দুর্গাপুজোর জন্য সরকারী অফিসে ছুটি ছিল। অটো চালকরা তাদের দাবি- দাওয়া নিয়ে সরকারী অফিস খোলা পর্যন্ত প্রিপেইড পরিষেবা চালু রাখতে পারতেন। পরিবহণ মন্ত্রীর প্রশ্ন, সরকারী অফিস ছুটি থাকলে অটো চালকদের দাবি দাওয়া নিয়ে কীভাবে আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তাই এই ভাবে প্রিপেইড পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি বলে পরিবহণ মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী সিংহ রায় জানান রাজ্য সরকার ও তার পরিবহণ দপ্তরের কাছে অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির চালক ও মালিকরা যেমন দূরের কেউ নন, তেমনি বিমানযাত্রীরাও দূরের নয়। সকলের দিকেই পরিবহণ দপ্তরের সমান দৃষ্টি রয়েছে। এদিকে প্রিপেইড পরিষেবা চালু নিয়ে মহাকরণে পরিবহণমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনলাইনে বুকিং অর্থাৎ ক্যাব গাড়ির সংস্থার কর্তাদের নিয়েও বৈঠক হয়। শনিবার মহাকরণে পরিবহণ দপ্তরের সচিবের অফিসে তার নেতৃত্বে অটো সিণ্ডিকেট, ফোর হুইলার গাড়ির সিণ্ডিকেট, পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক সংগঠনগুলির কর্মকর্তাদের নিয়েও বৈঠক হবে। পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান, দুই অক্টোবর প্রিপেইড পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পরেই যাত্রী পরিবহণে টিআরটিসির পাঁচটি বাস (এসি) বিমানবন্দরে দেওয়া হয়। যাত্রীরা বাসে সাড়া দেননি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.