নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
ফলাফল পর্যালোচনার পর বড় পদক্ষেপের পথে বিজেপি
বিজেপির নির্বাচনোত্তর পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্ট পেশের পর শাসক শিবিরে শুদ্ধিকরণের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। বুধবারই শাসক দলের প্রদেশ স্তরের কমিটি তাদের পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টচার্যের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার বিজেপি অফিসে হয় দফাওয়াড়ি বৈঠক। তাতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক পর্যালোচনা হয়। তৃণমূল স্তরের রিপোর্টে দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্বাসঘাতকদের তালিকা মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং প্রদেশ সভাপতি শ্রীভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রদেশ বিজেপির এক শীর্ষ পদাধিকারী জানান, তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বিজেপির সূত্রের খবর,তৃণমূল স্তর থেকে অনেক বড় মাপের নেতাদেরও বিশ্বাসঘাতকদের তালিকায় চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি, কাউন্সিলার, চেয়ারম্যান এই তালিকায় রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুধু সময়ের অপেক্ষা। শাসক দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, বিজেপিতে দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত এবং দল বিরোধী কার্যকলাপকে কঠোরভাবে নেওয়া হয়। আসন্ন দিনগুলিতে তা উপলব্ধিতে আসবে। ইদানীং বেশ কিছু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহাও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পদ্মশিবিরের গদ্দারদের জায়গা নেই। তেইশের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার
পর থেকেই তৃণমূল স্তর থেকে একাংশ নেতার কার্যকলাপ নিয়ে নালিশ জানানো হয়। এই তালিকায় কুড়ি থেকে পঁচিশ জনের মতো মণ্ডল সভাপতিও রয়েছেন। জেলাস্তরে পদাধিকারী। ফলাফল পর্যালোচনা কমিটি তাদের রিপোর্ট দেওয়ার অনেক আগেই দলীয় কর্মীরা তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। অনেকে পদত্যাগ করতেও বাধ্য হন । শোকজ পেয়ে গেছেন অনেকে। আরও অনেকে পেতে চলেছেন ।বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং বিজিত প্রার্থী তাদের মণ্ডল সভাপতিদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন। যতদূর জানা গেছে, ওই সব বিধানসভা কেন্দ্রে মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রামনগর, বড়জলা, বক্সনগর সহ বেশ কিছু মণ্ডল এই তালিকায় রয়েছে। শাসক শিবিরে বুথ সশক্তিকর কর্মসূচি শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ওই কর্মসূচিতে বুথ স্তরের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলস্তর থেকেই দুর্বলতা খামতি ঝেড়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা সম্পন্ন হওয়ার পরই হাত দেওয়া হবে মাঝারি এবং শীর্ষস্তরে।