গুঁড়ো ছাতা পড়া
(Powdery mildew)
উদ্ভিদ দেহের রোগাক্রান্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গাদির উপর গুঁড়ো গুঁড়ো সাদাটে ছাতার মতো দাগ পড়ে ।
মরিচা (Rust) রোগাক্রান্ত উদ্ভিদ অংশের উপর মরিচা রঙের গুঁড়োতে পূর্ণ ছোট ছোট সামান্য উঁচু দাগ দেখা যায়।
ঝুলে কালো (Smut )
রোগাক্রান্ত উদ্ভিদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ঝুলের ন্যায় কালো হয়ে যায় এবং কালো পাতার গুঁড়োয় পরিণত হয়।
ফুলে স্ফীত হওয়া (Tumour)
উদ্ভিদ দেহের স্থানে স্থানে অস্বাভাবিক কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বা কোশের
আয়তন বৃদ্ধি পায়। ফলে আক্রান্ত স্থান ফুলে স্ফীত হয়ে ।
গুচ্ছ মাথা (Bunchy top)
রোগাক্রান্ত গাছের ডগার বৃদ্ধি আস্তে আস্তে হয় এবং মাথা থেকে সব কয়টি পাতা বা শাখা প্রশাখা গুচ্ছাকারে বের হয়।
ক্যাঙ্কার (Canker ) রোগাক্রান্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ত্বকের উপর কর্কের মতো ক্যাঙ্কার দাগের সৃষ্টি হয়। দেহকোশের ক্ষয়প্রাপ্তি (Necrosis ) রোগাক্রান্ত উদ্ভিদ দেহকোশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। সাদা ডগা (white tip) রোগাক্রান্ত উদ্ভিদের পাতার ডগা সাদা হয়ে ধীরে ধীরে নিচের দিকে প্রসারিত হয়।
গুটিকাস্থলী (Gall)
রোগাক্রান্ত উদ্ভিদ অংশ বিভিন্ন আকারের গুটিকাস্থলীতে রূপান্তরিত হয়।
ফাইলোডি (Phyllody)
পুষ্পস্তবক পাতায় রূপান্তরিত হয়ে বা উদ্ভিদের অগ্রভাগের স্বাভাবিক ফুল ও ফলের পরিবর্তে শুধুমাত্র সবুজ পত্র উৎপন্ন করে। ড্যাম্পিং অফ (Damping off)
শাকসবজির শুধুমাত্র চারা অবস্থায় ছত্রাকের আক্রমণে বীজপত্রাদিকাণ্ডের মাটি সংলগ্ন অংশ পচে সরু হয়ে যায়। অঙ্কুরোদ্গমের পর থেকে চারাগাছ রোগাক্রান্ত অংশে ভেঙে পড়ে মরে যায় ।
ছোট পাতা (Little leaf)
রোগাক্রান্ত গাছের পাতার আকৃতি সাধারণ পাতা অপেক্ষা ছোট হয়ে যায়। অসংখ্য পাতা ছোট ছোট তুলসী কালো পাতার ন্যায় সৃষ্টি হয় ।
উদ্ভিদ রোগ বিস্তারের মাধ্যম
উদ্ভিদের রোগজীবাণু বিভিন্ন প্রকার বাহকের সাহায্যে বিস্তার লাভ করে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বীজ, বাতাস, সেচের জল, বৃষ্টিপাত, পোকা, মাকড়, গাছের কৃমি, মানুষ, গৃহপালিত পশুপাখি, বন্যপ্রাণী, গাছের চারা, ফল গাছের কলম, মাটি, রোগাক্রান্ত শুকনো পাতা, শাখা প্রশাখা, আবর্জনা সার, আগাছা, কৃষিকাজে স্থান ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, বন্যা ইত্যাদি ।
উদ্ভিদ রোগ বৃদ্ধির শর্ত উদ্ভিদের রোগ বৃদ্ধির জন্য সাধারণত তিনটি শর্ত পূর্ণ হওয়া প্রয়োজন
১) পোষক উদ্ভিদ (Host Plant) মাঠে উদ্ভিদের রোগ বৃদ্ধির জন্য রোগাক্রমণের প্রতি সংবেদনশীল পোষক উদ্ভিদ থাকা দরকার ।
২) রোগ জীবাণু (Pathogen)
উদ্ভিদকে আক্রমণ করার জন্য অত্যন্ত সক্রিয়, শক্তিশালী রোগজীবাণু থাকা প্রাপ্ত বাঞ্ছনীয়।
৩) পরিবেশ (Environment)
উদ্ভিদ রোগের বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ অর্থাৎ পোষক উদ্ভিদের বৃদ্ধির প্রতিকূল এবং রোগজীবাণুর বংশবৃদ্ধি, বিস্তার ইত্যাদির অনুকূল পরিবেশ থাকা প্রয়োজন।
এই তিনটি শর্ত পরিপূর্ণ হলে উদ্ভিদের রোগ বৃদ্ধি পায় এবং মহামারি আকারে ফসলের ক্ষতিসাধন করে।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…