ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা পরীক্ষা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণঃ কৃষিমন্ত্রী!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবার খোয়াই মহকুমা কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অফিস প্রাঙ্গণে খোয়াই জেলার মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।সাতাশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়।

খোয়াই জেলার এই মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রটি রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্র। এই মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস, খোয়াই মহকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়ক শ্রীকান্ত নাথ প্রমুখ।

কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জমির মৃত্তিকা পরীক্ষা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বিস্তারিত আলোচনা করেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, খোয়াই কৃষি মহকুমার অন্তর্গত মোট জমির পরিমাণ ১১ হাজার ১৭৯ হেক্টর। মহকুমার জনসংখ্যা ৯৭ হাজার ১২০ জন।এর মধ্যে কৃষক রয়েছেন ৮ হাজার ৯৮৩জন।কাজেই এই বিশাল জনসংখ্যার জন্য কৃষকরা যদি খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি না করতে পারে তাহলেই সমস্যা তৈরি হবে।কৃষকদের কৃষি জমিতে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার সর্বতোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।তিনি বলেন, একটি রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়ন হয় তিনটি সেক্টরের উপর দাঁড়িয়ে।প্রথমেই রয়েছে কৃষি। এরপর শিল্প এবং শেষটি হলো সার্ভিস সেক্টর। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আজ খোয়াই জেলায় মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন হলো।গত ছয় বছরে এই জেলাতে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮৭৬ জন কৃষকের কৃষি খেতের মাটি পরীক্ষা করে সয়েল কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এখন থেকে কৃষকরা এই মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রে খুব সহজেই মাটি পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। কৃষকদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন কৃষকের জমিতে কতটা কী রয়েছে তা একজন কৃষক কৃষি খেতের মাটি পরীক্ষা না করে কিছুতেই বুঝতে পারবে না।মাটি পরীক্ষা ছাড়া কৃষি কাজ করলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কখনই চাহিদা অনুসারে হয় না।আর এজন্যই দেশের প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোটা দেশ জুড়ে কৃষক কল্যাণে মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের মোট চৌদ্দটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে চিহ্নিত করেছেন যে বিদ্যালয়গুলির সায়েন্স ল্যাবে মাটি পরীক্ষার সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মাটির পরীক্ষা করবে এবং পরবর্তীতে সয়েল কার্ডও প্রদান করবে।এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন,প্রকৃতপক্ষে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে তাতে নিশ্চিত হওয়া যায় রাজ্যের কৃষকরা প্রকৃতপক্ষেই কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা প্রদান করবে।

Dainik Digital

Recent Posts

গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…

14 hours ago

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…

14 hours ago

কাজের বাজারে মন্দা!!

কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…

15 hours ago

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

2 days ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

2 days ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

3 days ago