ফার্মেসির আড়ালে প্যাথলজিক্যাল অবৈধ ল্যাব, ক্ষোভ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- কৈলাসহরে ফার্মেসির আড়ালে চলছে চিকিৎসকদের প্রাইভেট ক্লিনিক সহ রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষা। ভগবাননগরস্থিত জেলা হাসপাতাল ও কৈলাসহর গার্লস স্কুল রোড থেকে মৎস্য বাজার পর্যন্ত কয়েকটি ফার্মেসিতে চলছে অবৈধভাবে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব। জানা গেছে, সেইসব ফার্মেসির মালিকরা অধিক মুনাফা লাভের জন্য তাদের ফার্মেসির ভিতরে তৈরি করেছেন চিকিৎসকদের ক্লিনিক। সেই ক্লিনিকে চিকিৎসক রোগী দেখার পর বিভিন্ন ধরনের রক্ত সহ অন্যান্য পরীক্ষা লিখে দিচ্ছেন। সেসব পরীক্ষার জন্য ফার্মেসিতেই লোক নিয়োগ করে রাখা
হয়েছে। তারা সেই রোগীদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে পরবর্তী সময় তাদের হাতে রিপোের্ট ধরিয়ে দিচ্ছেন। জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ফার্মেসিতে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অবৈধভাবে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব চালিয়ে গেলেও কোনও ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগের। একইভাবে চলছে শহরের প্রাণকেন্দ্রের কয়েকটি ফার্মেসিতে অবৈধভাবে রক্ত পরীক্ষা সহ অন্যান্য পরীক্ষা। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ফার্মেসি মালিকরা এসব কাজকর্ম চালিয়ে গেলেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় স্বাস্থ্য বিভাগ। জানা গেছে, ইতিমধ্যেকয়েকজন রোগী সহ রোগীর আত্মীয়স্বজনরা লিখিতভাবে রাজ্যের অ্যাসিস্টেন্ট ড্রাগ কন্ট্রোলারের নিকট তাদের অভিযোগ জানাবেন। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে – ফার্মেসির আড়ালে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব চালিয়ে গেলেও কোনও এক – অদৃশ্য কারণে স্বাস্থ্য বিভাগ চোখ বন্ধ করে রেখেছে। কিছু কিছু ফার্মেসির মালিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করছেন এভাবে যদি ফার্মেসির আড়ালে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব চালানো হয় তাহলে প্রকৃতপক্ষে যারা প্যাথলজিক্যাল ল্যাব তৈরি করেছেন তারা মার খাবেন। কয়েকজন রোগী সহ রোগীর আত্মীয়স্বজন্ জানিয়েছেন, সেই সমস্ত ফার্মেসিতে চিকিৎসকরা দেখার পর যে সমস্ত পরীক্ষা লিখে দিচ্ছে তা ফার্মেসির মালিকরা বাইরে অন্য কোনও ল্যাবে করতে দিচ্ছেন না। তারা জানিয়েছেন কিছুদিনের মধ্যে সেই সমস্ত ফার্মেসি মালিকদের ও ফার্মেসির নামধাম দিয়ে তারা লিখিতভাবে অভিযোগ জানাবেন স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সহ অ্যাসিস্টেন্ট ড্রাগ কন্ট্রোলারের নিকট।