ফুল চাষে বিকল্পের সন্ধান দিচ্ছেন অচিন্ত্য বাবু!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু মানুষ নিজেদের কর্মদক্ষতা ও কর্ম উদ্দীপনার মাধ্যমে একদিকে যেমন নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহের পথ নিজেই খুঁজে স্বাবলম্বী বা আত্মনির্ভর হচ্ছেন। তেমনি বিকল্প অর্থনৈতিক দিশার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এমনই একজন উদ্যমী এবং দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ব্যক্তি হলেন তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিবেকানন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের করইলং ঘনিয়ারবিল এলাকার অচিন্ত্য দত্ত লস্কর। বিগত ২০০০ সাল থেকে সম্পূর্ণ স্ব-উদ্যোগে রকমারি ফুল চাষ করতে শুরু করেন অচিন্ত্যবাবু। বর্তমানে গোটা মহকুমার একজন বিশিষ্ট ফুল চাষী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।
রাজ্যে ফুলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচীকে সাজিয়ে তুলতেও রকমারি ফুলের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু রাজ্যে বিপুল ফুলের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ফুল চাষের জন্য সরকারিভাবে আগে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে চাষীদের ইচ্ছে থাকলেও ফুল চাষ করতে পারেনি সঠিকভাবে। কিন্তু এখন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান ফুলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং চাষীদের উৎসাহিত করতে ফুল চাষে গুরুত্ব দিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশন প্রকল্পে ইন্দো – ডাচ প্রযুক্তিতে একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর ফ্লোরিকালচার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ফুল চাষকে গুরুত্ব দিয়ে চালু করা হয় “মুখ্যমন্ত্রী পুষ্প উদ্যান প্রকল্প”। রাজ্যে ফুল চাষ বৃদ্ধির জন্য ‘মুখ্যমন্ত্রী পুষ্প উদ্যান’ প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশন প্রকল্পের এবং স্টেট প্ল্যান-র আর্থানুকুল্যে ফুল চাষীদের গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা এবং গোলাপ ইত্যাদি ফুল চাষে সহায়তা দেওয়া হয়।
কথা প্রসঙ্গে অচিন্ত্য বাবু জানিয়েছেন, প্রশাসন বা সরকারের তরফ থেকে সাহায্য করা হয় নি এমন না। বেশ কয়েকবার সাহায্য পেয়েছেন। কিন্তু এরপরও সিংহভাগ যে নিজের উদ্যোগেই করেছেন তা একাধিকভার আলাপচারিতায় দাবি করেছেন অচিন্ত্যবাবু। পাশাপাশি তিনি জানান, এই ফুল চাষের মাধ্যমেই তিন জনের সংসার প্রতিপালন করছেন অচিন্ত্য দত্ত লস্কর।
তিন কানি জমি জুড়ে গড়ে ওঠা রকমারি ফুলের বাগান দেখে এখন অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছেন।