রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেও উত্তরপূর্বের অন্যতম ছোট রাজ্য রামণিপুরে মণিপুরে শান্তি ফেরানো যায়নি।মণিপুর জুড়ে ফের অশান্তি শুরু হয়েছে।এবার অশান্তির মূলে রয়েছে কুকি বিক্ষোভ। মূলত কুকি সম্প্রদায়ের জনগণের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরোধ। এমনটাই খবরে প্রকাশ।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছিলেন।বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলিকে সব সম্প্রদায়ের মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দিতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য খুলেও দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু এরপরও নতুন করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ইম্ফল-ডিমাপুর হাইওয়েতে কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ ঘটে।এই সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৭ জন নিরাপত্তা কর্মী। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
খবরে প্রকাশ,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ৮ মার্চ থেকে মণিপুরে অবাধ যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশি নিরাপত্তায় বিভিন্ন জেলায় বাস পাঠানো হচ্ছিল। সেই সময় ইম্ফল থেকে কাঙ্গপোক পিগামী একটি বাসের পথ আটকে দেয় একদল মহিলা বিক্ষোভকারী।বারবার অনুরোধ করেও রাস্তা সচল করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।এতে ১৬ জন বিক্ষোভকারী আহত হন বলে খবরে প্রকাশ। এই ঘটনার পর কুকি সম্প্রদায়ের আরও প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পাল্টা হামলা চালায়। বাস ও এসকর্ট গাড়ির উপর পাথর ছুঁড়তে থাকে। এমনকী একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্দ জনতা।তখনই এক ব্যক্তি গুলীবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবাদে কুকি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।যতুটুকু খবর, বিভিন্ন জেলায় নতুনকরে অশান্তি শুরু হয়েছে।
পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি চালাতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আরও তৎপর হয়ে উঠেছে। খবরে প্রকাশ, গত ৮ ও ৯ মার্চ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১৫ জন সদস্যকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। মণিপুর পুলিশ একটি সরকারী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে পরিস্থিতি উত্তেজিত ছিল, তবে এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। পাহাড় ও উপত্যকার বিভিন্ন জেলার নানা অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি ও এলাকা দখলের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জনগণকে অসত্য ভিডিও এবং গুজবে বিশ্বাস না করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও অসত্য পোস্ট দেওয়া ও শেয়ার না করার জন্য সতর্ক করেছে। যেকোনও লুঠ করা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রুত পুলিশ বা নিকটবর্তী নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ঘোষণা দিয়েছে।
গত প্রায় তিন বছর ধরে মণিপুরে অশান্তি চলছে। কেন এই অশান্তি? এর পিছনে কী কারণ? তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সেই অশান্তির জেরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার কার্যকাল স্থগিত রাখা হয়েছে। খবরে প্রকাশ, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পর রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা অবৈধ অস্ত্রধারীদের ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আত্মসমর্পণের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। মাত্র সাত দিনের মধ্যে ৩০০ র বেশি অবৈধ অস্ত্র জমা পড়েছে বলে খবর। জানা গেছে, মণিপুরে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে ভারত সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আরও কঠোর হতে পারে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রশ্ন হচ্ছে এরপরও কি শান্তি ফিরবে মণিপুরে? প্রশ্নটা উঠেছে এই কারণে যে, রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যেও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। বরং নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে হিংসা। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত করা যাবে?তা নিয়ে একটা উদ্বেগ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
দু’দিনের মরিশাস সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১২ মার্চ সেদেশের ৫৭ তম জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে…
অনলাইন প্রতিনিধি :- বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে এবং কৃষিকাজে কৃষকরা আগের তুলনায় এখন দারুণভাবে উৎসাহিত হচ্ছেন।শুধু…
অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্য থেকে বিমানে বহিঃরাজ্যে কার্গো পাঠানোর আরও সুবিধা চালু হল। গত দেড়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সিরিয়ার উপকূলীয় শহর লাতাকিয়া ও তার্তুসের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ছাপাল এক হাজার প্রায়।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বুকে ব্যথা নিয়ে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের কার্ডিয়াক ডিপার্টমেন্টে ভর্তি…
২০১৮ থেকে ২০২৫, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সপ্তম বর্ষ পূর্তি হয়েছে। ৯ মার্চ বর্তমান জোট…