ফের ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, ইসরোর ইতিহাস রচনায় অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদীর।।

 ফের ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, ইসরোর ইতিহাস রচনায় অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদীর।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদের পর সূর্য ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন সফল করে ইতিহাস গড়ল ইসরো। ৬ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ ‘হ্যালো অরবিট’ কক্ষপথে ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্ট বা এল ১ কক্ষপথে সফলভাবে পৌঁছেছে মহাকাশযান আদিত্য।উল্লেখ্য, ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্ট বা এল ১ পয়েন্ট হলো সেই জায়গা যেখানে পৃথিবী ও সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা হয়। এই পয়েন্ট টি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে যা সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্বের মাত্র এক শতাংশ।গত বছর অর্থাত্‍ ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ইসরো শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে দেশের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য এল ১ লঞ্চ করেছিল। ইসরোর পাঠানো সেই মিশনের লক্ষ্য ছিল সূর্য পৃথিবীর ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্ট এর চারপাশে একটি কক্ষপথ থেকে সূর্যকে পরীক্ষা করা,যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে লঞ্চ করা আদিত্য L1 আজ তার শেষ এবং খুব জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে।এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করেছেন, “ভারত আরেকটি মাইলফলক অর্জন করেছে। ভারতের প্রথম সৌর মানমন্দির আদিত্য-এল1 তার গন্তব্যে পৌঁছেছে।এটি সবচেয়ে জটিল মহাকাশ মিশনগুলির একটিকে উপলব্ধি করার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টার জন্য একটি দুর্দান্ত অবদান।”এটি অক্লান্ত উত্সর্গের একটি প্রমাণ।কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন যে, এই বছরটি ভারতের জন্য খুবই চমত্‍কার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ISRO আরেকটি সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আদিত্য এল 1 সূর্যের রহস্য আবিষ্কার করতে তার চূড়ান্ত কক্ষপথে পৌঁছেছে।মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে সান-আর্থ সিস্টেমের ল্যাগ্রঞ্জ পয়েন্ট (L1) এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে পৌঁছেছে।L1 বিন্দু পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে মোট দূরত্বের প্রায় এক শতাংশ। শেষ স্টপে পৌঁছানোর পর মহাকাশযানটি কোনও গ্রহন ছাড়াই সূর্যকে দেখতে পাবে।ল্যাগ্রঞ্জ পয়েন্ট হল সেই অঞ্চল যেখানে পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যকার মাধ্যাকর্ষণ নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে। হ্যালো কক্ষপথে L1 পয়েন্টের চারপাশে উপগ্রহের মাধ্যমে সূর্যকে একটানা দেখা যায়। এটি সৌর ক্রিয়াকলাপ এবং বাস্তব সময়ে মহাকাশ আবহাওয়ার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.