দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে জনকল্যাণে আরও এক দফা কল্পতরু হলো রাজ্য সরকার। মন্ত্রিসভার আগের বৈঠকে কর্মচারীদের ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও বিভিন্ন স্তরের অনিয়মিত কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ বেতনবৃদ্ধির পর মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জনকল্যাণে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বেতনভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে হোমগার্ড কর্মী, মিড-ডে- মিল কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়ক, আশাকর্মী, পাম্প অপারেটরদের। এসসি-এসটি ছাত্র ছাত্রী যারা বোর্ডিং ও হোস্টেলে থাকে, তাদের মাথাপিছু স্টাইপেণ্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভার একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হোমগার্ড কর্মীদের মাসিক পেনশনও ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ২৫০০ টাকা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে হোমগার্ড কর্মীদের মাসিক বেতন বাড়িয়ে ১৮,১৪০ টাকা করেছিল। এখন আরও ১০০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন থেকে হোমগার্ডের মাসিক বেতন হবে ১৯,১৪০ টাকা। ১লা ডিসেম্বর ২২ইং থেকে তা কার্যকর হবে। মিড-ডে-মিল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করে ২,৫০০ টাকা করা হয়েছে। আগে তারা মজুরি পেতেন ১,৫০০ টাকা। ১০০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যের আশাকর্মীদের বেতনবৃদ্ধি করা হয়েছে ১০০০ টাকা। এতে রাজ্যের ৭৭৬৭ জন আশা কর্মী উপকৃত হবেন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়করা এখন থেকে পাবেন যথাক্রমে প্রতিমাসে ৮০০০ টাকা এবং ৫০০০ টাকা করে। তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে যথাক্রমে ৬০০ এবং ৭০০ টাকা। এতে মোট ১৯,৮২২ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়ক উপকৃত হবেন। বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে পাম্প অপারেটরদেরও। ডিডব্লিউএস দপ্তরের অধীন মোট ২৪৩৪ জন পাম্প অপারেটর রয়েছেন। এরা মাসিক মজুরি পেতেন ৪,৭১০ টাকা করে। এখন আরও ২,৩০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে তারা প্রতিমাসে পাবেন ৭,০১০ টাকা করে। আর ডি দপ্তরের অধীন পাম্প অপারেটর রয়েছে ১,৭৫১ জন। এরা আগে পেতেন ৫,১১০ টাকা করে। এখন আরও ২,৪৯০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এখন তারা প্রতিমাসে মজুরি পাবেন ৭,৬০০ টাকা করে। এসসি এবং এসটি ছাত্র ছাত্রী যারা বোর্ডিং ও হোস্টেলে থাকে তাদের মাথাপিছু স্টাইপেণ্ড প্রতিদিন ৫৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। এতে রাজ্যের প্রায় একত্রিশ হাজারের মতো ছাত্র ছাত্রী উপকৃত হবে। এছাড়াও এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভায় রাজনৈতিক খুন হয়েছে এমন পাঁচ পরিবারের পাঁচ জনকে সরকারী চাকরি প্রদান করা হয়েছে। চাকরি প্রাপকরা হলেন সঞ্জন দত্ত, পায়েল সরকার, দিবাকর দেবনাথ, লিটন চৌধুরী এবং বিকাশ নমঃ। এছাড়া উত্তর জেলায় আর্যভট্ট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। আরও ২৫টি বিদ্যাজ্যোতি স্কুল খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জুডিশিয়াল একাডেমীতে ৩৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। নির্বাচন দপ্তরে ১৬টি গ্রুপ সি পদে লোক নিয়োগ করা হবে। এমবিবি ইউনিভার্সিটিতে ৩২ জন টিচিং এবং নন টিচিং কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ১০,৩২৩ ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, এই সরকার রাজনীতির জন্য রাজনীতি করে না। মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। যাদের জন্য ১০,৩২৩ সৃষ্টি হয়েছে তাদের এই প্রশ্ন করা উচিত। জবাব চাওয়া উচিত, কেন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চাকরিগুলি প্রদান করে এতগুলো মানুষ ও পরিবারকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা হয়েছে। চাকরি তো গেছে বাম আমলে। কেন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মানিক সরকার তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিলেন না। এখন বলছেন, আবার ক্ষমতায় এলে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেবেন। এটা রাজনীতির জন্য রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০১৮ সালে নতুন নিয়োগনীতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সস্তায় ভালো গুণমানসম্পন্ন জনঔষধি তথা জেনারিক মেডিসিন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-শান্তিরবাজারে সিনিয়র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হলো জগন্নাথপাড়া প্লে সেন্টার টিম। রবিবার বাইখোড়া ইংলিশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৮৭৮ কোটি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত ছয় মাসে ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ২২টি মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে।২০২৪ সালের…
View Comments
text