ফের চোখ রাঙাচ্ছে কোভিডঃ রাজ্যগুলিকে সতর্কতা কেন্দ্রের

 ফের চোখ রাঙাচ্ছে কোভিডঃ রাজ্যগুলিকে সতর্কতা কেন্দ্রের
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। প্রতিবেশী চিন দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের পরপরই এদেশেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের স্মৃতি এখনও টাটকা গোটা বিশ্ববাসীর মনে। সে বছরের ডিসেম্বরেই চিন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছিলো করোনা নামক এক ভয়াবহ দানব। সাম্প্রতিককালে করোনার তান্ডব কমে গেছিল অনেকটাই। গোটা বিশ্ব করোনার প্রকোপ থেকে বেরিয়ে ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে ওঠেছিলো। কিন্তু এরই মধ্যে ফের চিনে ভয়াবহ সংক্রমণ ছড়িয়েছে করোনার। ফলে আগেভাগে সতর্ক থাকার জন্য ভারত সরকার উদ্যোগী হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া বুধবার করোনা নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সব রাজ্যকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলিতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে চিন থেকে এবং অন্যান্য দেশ থেকে আগত যাত্রীদের রেণ্ডাম কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। শ্রী মান্ডবিয়া বলেছেন, কোভিড এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আমি সংশ্লিষ্টদের এমর্মে সতর্ক থাকতে আবেদন করেছি এবং নজরদারি চালাতেও বলেছি। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তৈরি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার উপর কি কোপ পড়তে চলেছে? কেন্দ্রীয় সরকার এদিন কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রাকে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য বলেছে। যদি কোভিড বিধি না মানা হয় তাহলে হয়তো ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে- এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কংগ্রেসও এনিয়ে তাদের বক্তব্য কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে এদিন চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাওবিয়া। এদিনই রাজস্থান থেকে হরিয়ানায় প্রবেশ করেছে ভারত জোড়ো যাত্রা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, যদি ভারত জোড়ো যাত্রায় কোভিড বিধি না মানা হলে ‘পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি মোতাবেক হয়তো একে বন্ধ করেও দেওয়া হতে পারে। এজন্য যাত্রায় মাঙ্গ, স্যানিটাইজার ইত্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পাল্টা কায়েসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, কোথায় ছিল গুজরাটের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কোভিড বিধি? অধীর বলেন, হয়তো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাকে পছন্দ হচ্ছে না। মনসুখ মাওবিয়া জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই এই চিঠি লিখেছেন বলে বক্তব্য অধীরের। এদিকে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আহুত বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)
ডা. ভি কে পল জানান, এদেশে প্রায় ২৭-২৮% মানুষই কেবল এখন পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদিন বৈঠকে জানানো হয় যে, কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু – এই পাঁচটি রাজ্যে নতুন করে কোভিড কেস পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সামগ্রিকভাবে দেশে কোভিড কেসের সংখ্যা অনেকটাই নীচে চলে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, চিনের পাশাপাশি জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া, ব্রাজিলেও করোনার প্রকোপ বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত প্রদেশগুলিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নয়া প্রজাতির সন্ধান পেলে সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রের গোচরে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে এ পর্যন্ত কোভিডের নয়া প্রজাতি বিএফ-৭ -এর তিনটি কেস শনাক্ত হয়েছে, যা চিনে নয়াভাবে ব্যাপক হারে সংক্রমিত হচ্ছে।অন্যদিকে বণিক সংস্থা ফিকি জানিয়েছে, বিশ্বের বহু দেশে ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের জন্য অর্থনীতির মন্দাভাব পরিলক্ষিত হলেও ভারত আশাবাদী কোনও আর্থিক মন্দাভাব এদেশে পরিলক্ষিত হবে না। এ মর্মে ফিকি বলেছে, প্যানিক হবার কোনও কারণ নেই। চিনে এমন কোনও সংক্রমণ হয়নি। ভারত সরকার সতর্ক রয়েছে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.