বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
ফেসবুকে আইটি সেলের নেতার পোস্ট ঘিরে শাসকদলেই গুঞ্জন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-তিনি শাসক দলের কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ওজনদারী নেতা (!), সেটা তার দলের নীতি নির্ধারকরাই ভালো বলতে পারবেন। ২০১৮ সালে রাজ্যে বাম সরকার পতনের পর, তিনিও অন্যদের মতো মেলারমাঠের রামাবলি ছেড়ে বিজেপি দলে ভিড়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি নাকি এখন শাসকদলের আইটি সেলের ইনচার্জ। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তার একটি মন্তব্য (পোস্ট) ঘিরে শাসক দলের অন্দরেই জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার করা ওই পোস্ট ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশেষ করে বিরোধী দল সিপিএমের নেতা, কর্মী থেকে শুরু করে মেলারমাঠের প্রশিক্ষিত আইটি সেলের কর্মীরা তার ওই পোস্টকে গোটা রাজ্য জুড়ে বাম-কর্মী-সমর্থকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি খুব নিপুণভাবেই করে যাচ্ছে।শাসক দলের তিনি কত বড় নেতা? সেটা অবশ্য আমাদের জানা নেই। তবে বিজেপি দলের অনেকেই বলছেন, তিনি নাকি নিজেকে বিশাল বড় নেতা ভেবে তৃপ্তি লাভ করেন। অনেকটা ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’ ধাঁচের। ওই দাম্ভিকতা থেকেই নাকি তিনি এখন দলের নেতা-নেত্রী ও কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও প্রাজ্ঞতার পাঠ দিচ্ছেন। তাও প্রকাশ্যে, নিজের সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করে।সম্প্রতি শাসকদলের আইটি সেলের ওই তথাকথিত নেতা নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছেন, “আমরা এখনও অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে শিখতে পারিনি। রাজনৈতিক সচেতনতা ও প্রাজ্ঞতার অভাবই এর জন্য দায়ী।
এক্ষেত্রে অবশ্যই বামপন্থী সাপোর্টারদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।”সামাজিক মাধ্যমে তার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর,স্বাভাবিকভাবেই তার নিজের রাজনৈতিক সচেতনতা ও প্রাজ্ঞতা কতটা? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খোদ দলের কোনও একটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যখন প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করেন, তখন রাজ্যবাসীর কারোর বুঝতে বাকি থাকে না বর্তমানে শাসক দলের অন্দরের অবস্থা যে বেহাল। তিনি প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করে দলের অন্দরের হতচ্ছিরি অবস্থা ও পরিস্থিতিটাকে রাজ্যবাসীর সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তিনি দলের নেতা-নেত্রী ও কার্যকর্তাদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও প্রাজ্ঞতার শিক্ষা বামপন্থীদের কাছ থেকে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন! তার এই মন্তব্যে এবং পরামর্শে শাসক দলের নেতা-নেত্রী ও কার্যকর্তারা কতটা অনুপ্রাণিত হবে? অথবা নত মস্তকে পালন করবে? সেই উত্তর আমাদের কাছে নেই। তবে বামপন্থীরা যে উজ্জীবিত হবে,এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। ফলে তিনি নিজে কতটা রাজনৈতিক সচেতন?তা নিয়ে দলের অন্দরেই এখন বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। প্রকাশ্যে তার এই পোস্টে শাসক দল (বিজেপি) কতটা লাভবান হয়েছে বা হবে? জানা নেই, কিন্তু তিনি যে দলবিরোধী কাজ করছেন, এই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রশ্ন উঠেছে, দলের আইটি সেলের ইনচার্জ হয়ে নিজের সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের মন্তব্য পোস্ট করার আগে তিনি কি দলের অনুমোদন নিয়েছেন? প্রশ্ন উঠেছে, দলের একটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কি প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন? এই ব্যাপারে যদি তিনি দলের অনুমোদন নিয়ে থাকেন, তাহলে – কোনও কথা নেই। যদি না নিয়ে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ । করেছেন এবং দলীয় গঠনতন্ত্র ও নীতির বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই • তার বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, তার এই পোস্টে দলের কোন্দল যেমন স্পষ্ট হয়েছে, তেমনি তার এই গুরুত্বপূর্ণ সেলের পদে থাকার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।