ফ্রেণ্ডসকে হারিয়ে সুপার ফোরে গেলো লালবাহাদুর।
অনলাইন প্রতিনিধি :-লীগে ফ্রেণ্ডস ইউনিয়নের অবনমনের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়ে সুপার ফোরের টিকিট কনফার্ম করে নিলো লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার। ছয় ম্যাচে তেরো পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে উঠে এলো লালবাহাদুর। শুক্রবার উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে ঘরোয়া এ ডিভিশন ক্লাব লীগ ফুটবলের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার ৩-১ গোলে ফ্রেণ্ডস ইউনিয়নকে হারালো। ম্যাচ হারাতে দুশ্চিন্তা অনেকটা বেড়ে গেলো ফ্রেণ্ডস ইউনিয়নের। সাত ম্যাচে ফ্রেণ্ডস ইউনিয়নের পয়েন্ট ছয়। সামনে এগিয়ে চলোর বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবে তারা। অন্যদিকে, লালবাহাদুরের সামনে আরও দুটো ম্যাচ খেলার এখনও বাকি রয়েছে। জুয়েলস অ্যাসোসিয়েশন ও ফরোয়ার্ড ক্লাবের বিরুদ্ধে শেষ দুটো ম্যাচ খেলবে লালবাহাদুর। তবে আজ ম্যাচ জেতার পর চাপমুক্ত হয়ে গেলো কোচ সুজিত ঘোষের লালবাহাদুর টিম। ফরোয়ার্ড, এগিয়ে চলো ও রামকৃষ্ণের পর সুপার ফোরের খেলা নিশ্চিত হলো আজ লালবাহাদুরের। এদিন ফ্রেণ্ডস ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ম্যাচে সহজ জয় তুলে নিলো লালবাহাদুর। ম্যাচের প্রথমার্ধের ষোল মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নেয় লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার। গোল করে শ্যাম কুমার। বল নিয়ে আক্রমণে গেলে বক্সের ভেতর লালবাহাদুর টিমের এক প্লেয়ারকে বাজেভাবে ফাউল করে ফ্রেণ্ডস ইউনিয়নের এক প্লেয়ার। তাতে রেফারি লালবাহাদুরের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আর সেই পেনাল্টি থেকে শ্যাম কুমারের গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় লালবাহাদুর (১-০)। তবে এই গোল বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি লালবাহাদুর। একুশ মিনিটে বিশাল জমাতিয়ার গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে ফ্রেণ্ডস ইউনিয়ন (১-১)। পাল্টা পঁয়ত্রিশ মিনিটে আবর্ণ হরি জমাতিয়ার গোলে ম্যাচে ২-০-তে এগিয়ে যায় লালবাহাদুর। প্রীতম সরকারের পাস ধরে শ্যাম কুমারের গোলমুখী শট প্রথমে গোলরক্ষকের হাত থেকে বল ফসকে ফিরে এলে আবর্ণ হরি জমাতিয়া গোল করেন। প্রথমার্ধে ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকে লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার। বিরতির পর মাঠে নেমে আট মিনিটে প্রীতম সরকারের দেওয়া গোলে ৩-১-এ এগিয়ে যায় লালবাহাদুর। ম্যাচে পিছিয়ে থাকার পরেও ফ্রেণ্ডস ইউনিয়ন কিন্তু হাল ছাড়েনি। তারা গোলের চেষ্টা চালিয়ে যায়। তাতে ম্যাচে গোল করার মতো অনেকগুলো সুযোগও ফ্রেণ্ডসের সামনে আসে। তবে অভিজ্ঞতার অভাব ও যোগ্য স্ট্রাইকার না থাকার কারণে সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি ফ্রেণ্ডস ইউনিয়ন। অন্যদিকে, লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারও গোলের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি সুযোগ এলেও আর গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার। ম্যাচ শেষে লালবাহাদুর টিমের কোচ সুজিত ঘোষ জানান, ভাইটাল তিন পয়েন্ট সুপার ফোরে নিয়ে গেলো আমাদের। সামনে জুয়েলস অ্যাসোসিয়েশন ও ফরোয়ার্ড ক্লাবের সাথে ম্যাচ খেলার বাকি রয়েছে। আশা করছি শেষ দুটো ম্যাচ ভালো খেলবে ছেলেরা। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নতুন করে প্লেয়ার টিমে যোগ দিতে পারে। আশা করছি সুপার ফোরে টিমটি ভালো ফাইট দেবে। অন্যদিকে, ফ্রেস ইউনিয়ন টিমের ম্যানেজার- মাখন লাল জমাতিয়া বলেন, টিমে অধিকাংশ জুনিয়র ফুটবলার। তাদের অভিজ্ঞতা অনেক কম। তার পরেও ছেলেরা আজ ভালো খেলেছে। তবে ম্যাচ জেতা হয়নি। রেফারি – অসীম বৈদ্য।