অজন্য সব কিছুর মতো রাজনীতিতেও ‘উপাদান’ একটি মুখ্য বিষয়।আরও সহজ করে বললে লবনহীন রান্না করা সবজি খেতে যেমন বেস্বাদ, তেমনি উপাদানহীন (ইস্যু) রাজনীতিও। তাই রাজনীতির কুশীলবরা এবং রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিনিয়ত, প্রতিমুহূর্তে উপাদন খুঁজে বেড়ায়। যে উপাদানকে হাতিয়ার করে প্রতিপক্ষকে এবং প্রতিপক্ষ শিবিরকে নাস্তানাবুদ করা যাবে। সেই উপাদানে এবার উঠে এসেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ফ্লাইং কিস’। বুধবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা করতে গিয়ে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। মোদি পদবি বিতর্কে মানহানি মামলায় জড়িয়ে প্রায় চারমাস সংসদের বাইরে ছিলেন রাহুল গান্ধী। সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ায়, ফের সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। স্বাভাবিকভাবেই বুধবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপর রাহুল গান্ধীর ভাষণ নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ ছিলো। দীর্ঘ চারমাস পর সংসদে ফিরে কি বলবেন রাহুল গান্ধী ? তা নিয়ে অনেকেরই বাড়তি নজর ছিল। কী বলেছেন তিনি? তা ইতিমধ্যে গোটা দেশ দেখেছে, শুনেছে। এই নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু রাহুলের ‘ফ্লাইং কিস’ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্ক তৈরি হয়েছে বললে হয়ত ভুল বলা হবে। বলা যায় রাজনীতির উপাদান হিসাবে ‘ফ্লাইং কিস’-কে তুলে ধরে বিতর্ক উসকে দেওয়া হয়েছে। মোদ্দাকথা পাল্টা চাপে রাখার কৌশল।মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নজিরবিহীন আক্রমণের পর পাল্টা জবাব দিতে উঠেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শাসকদল পরিকল্পনা করেই রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পর স্মৃতি ইরানিকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দিয়েছে।আমেথিতে স্মৃতির কাছেই হারতে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। অভিযোগ, স্মৃতি ইরানি যখন পাল্টা একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তখন রাহুল গান্ধী তাকে উদ্দেশ্য করে ‘ফ্লাইং কিস’ ছোড়ে দেন। এতেই বাধে নয়া বিতর্ক। বিজেপিও এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি। রাহুল গান্ধীর এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিজেপির মহিলা সাংসদরা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্মৃতি ইরানিও রাহুলের ‘ফ্লাইং কিস’ এর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, দেশের সংসদে এই ধরনের আচরণ আগে কখনও দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, এমন আচরণ রাহুল গান্ধীর ‘নারী বিদ্বেষী’ মনোভাবের পরিচয় বলেও আক্রমণ করেন স্মৃতি। পরে সংসদের বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করে স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘সংসদে আজ (বুধবার) রাহুল গান্ধী যা করেছেন এর আগে কখনও কোনও পুরুষের এতটা নারী বিদ্বেষী আচরণ চোখে পড়েনি। হাউস অব পিপল, যেখানে মহিলাদের সম্মান রক্ষার জন্য আইন তৈরি করা হয়, একটি অধিবেশন চলাকালীন একজন পুরুষের বিদ্বেষের সাক্ষী হয়ে দাঁড়াল।
তবে রাহুলের ‘ফ্লাইং কিস’ নিয়ে বিরোধী মহিলা সাংসদরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। বিরোধী মহিলা সাংসদদের বক্তব্য, ‘এটা ভালোবাসা’। বিষয়টিকে অন্য নজর দিয়ে দেখা হচ্ছে কেন? ভালো নজর দিয়ে দেখলে এটা কোনও বিষয়ই হতে পারে না। সে যাই হোক, ‘ফ্লাইং কিস’ ইস্যুতে শাসক-বিরোধীদের যুক্তি পাল্টা যুক্তি, দাবি-পাল্টা দাবিতে জাতীয় রাজনীতি এখন তপ্ত।তবে স্পিকার কি ব্যবস্থা নেন, আদৌ তিনি কোনও ব্যবস্থা নেবেন কি না? তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রাজনীতির অঙ্গনে যে কোনও সময়, যে কোনও বিষয়ই যে রাজনীতির মোক্ষম উপাদান হয়ে উঠতে পারে— তা আরও একবার স্পষ্ট হলো রাহুলের ‘ফ্লাইং কিস’ কাণ্ডে।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…