ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছাতে মিশন মোডে কাজ চলছে : মুখ্যমন্ত্রী!!

 ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছাতে মিশন মোডে কাজ চলছে : মুখ্যমন্ত্রী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় উভয় সরকারই সমাজের শেষ মানুষটিকে সমস্ত সরকারী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের জন্য নিরলস প্রয়াস জারি রেখেছে। উভয় সরকারই এটি অর্জনের জন্য মিশন মোডে কাজ করছে।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে জনজাতি গৌরব দিবসের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন। পাশাপাশি রাজ্যে এদিন বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানেরও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং জনজাতি কল্যাণ দপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও পরিষেবা সমূহের সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগ্য সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানের সূচনা করা হয়েছে।যোগ্য সুবিধাভোগীদের কাছে সরকারী প্রকল্প ও পরিষেবার সুফল সুনিশ্চিত করতে বর্তমান রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সরকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’ এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণে সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পগুলির মাধ্যমে’ স্যানিটেশন সুবিধা, আবশ্যক আর্থিক পরিষেবা, এলপিজি সংযোগ, দরিদ্র অংশের জনগণের জন্য আবাসন, খাদ্য নিরাপত্তা, সঠিক পুষ্টি, নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিশুদ্ধ পানীয় জল, গুণগত শিক্ষা ইত্যাদি মৌলিক সুযোগ সুবিধা প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার মিশন মুডে নিরন্তর কাজ করে চলেছে।সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাপ্য সুবিধা এবং বিভিন্ন সুযোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সুনিশ্চিত করতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যেই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী এই অভিযান।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই অভিযান কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো যোগ্য অথচ এখনও পর্যন্ত যারা বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের আওতায় সুবিধা লাভ করতে পারেননি তাদের চিহ্নিত করে সেই প্রকল্পগুলোর সুবিধা পৌঁছানো।পাশাপাশি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভাব বিনিময় ও যোগ্য সুবিধাভোগীদের বিস্তৃত বিবরণ সংগ্রহের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করাও এই অভিযানের উদ্দেশ্য।রাজ্যেও এদিন থেকে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা শুরু হচ্ছে। একই সাথে বুধবার থেকে প্রতি ঘরে সুশাসনের দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান শুরু হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের কাছে সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া.

মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, জনজাতিদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সাল থেকে ১৫ নভেম্বর দিনটিকে জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসাবে পালনের ঘোষণা করেন।এই দিনটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে জনজাতিদের বীর নেতৃত্ব ‘ভগবান’ হিসাবে পরিচিত বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন হিসাবে পালিতহয়। এই দিনটিতে স্বাধীনতা সংগ্রামে জনজাতিদের ভূমিকাকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।জনজাতি গৌরব দিবস উদ্যাপনের বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী

নরেন্দ্র মোদি বুধবার ঝাড়খণ্ড থেকে সরকারী প্রকল্প সমূহের তথ্য সমৃদ্ধ ভ্রাম্যমাণ প্রচার বাহনের যাত্রার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচির সূচনা করেন।এই সংকল্প যাত্রা আগামী ছাব্বিশ জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত দেশের জনজাতি অধ্যুষিত বিভিন্ন জেলা পরিক্রমা করবে।

এদিন রবীন্দ্র ভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ, জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, মুখ্যসচিব জে কে সিন্হা, পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন ও জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব এল টি ডার্লং। অনুষ্ঠানে জনজাতি সম্প্রদায়ের পাঁচজন বরিষ্ঠ প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহাকে ঐতিহ্যবাহী রিসা পরিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করেন।অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড.প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন,রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জনজাতীয় গৌরব দিবস, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা এবং প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০-র অভিযান এই তিনটি কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। বুধবার থেকে আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে তিনদিনব্যাপী জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন করা হয়।এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি যেমন স্বসহায়ক দলের উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী, আলোচনাচক্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।পাশাপাশি এদিন থেকেই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযান একই সঙ্গে চলবে।তথ্য দপ্তরের সচিব বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো যারা এখনও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেননি তাদের চিহ্নিত করে সুবিধা প্রদান করা।কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত পোস্টার নিয়ে বেশ কয়েকটি ভ্যান গাড়ি রাজ্যব্যাপী ঘুরে বেড়াবে। রাজ্যের প্রতিটি জেলার গ্রামীণ এলাকা, পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি, ব্লক এবং পুর, শহর কিংবা নগর এলাকার ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হবে এই কর্মসূচি।কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও পরিষেবা প্রদান সহ উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে বিকাশ সভা, শিবির ও জেলাস্তরীয় মেলার আয়োজন করা হবে।এদিকে, বিজেপি জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে জনজাতি গৌরব দিবস উদযাপিত হয়েছে। এদিন মান্দাই বাজারস্থিত হল ঘরে জনজাতি গৌরব দিবসের শুভ সূচনা করে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, জনজাতিদের বিকাশ ভারতীয় জনতা পার্টির বিশেষ লক্ষ্য। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ মান্দাই মণ্ডল ও যুবমোর্চার কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি সরকার জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করে চলছে। জনজাতিদের জন্য জল, কল, বিদ্যুৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সবকিছুরই ব্যবস্থা করছে বিজেপি সরকার।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.