বইমেলার আয়োজনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী!
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন আগরতলা বইমেলা সফল করে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। শুক্রবার মুক্তধারা অডিটরিয়ামে আগরতলা বইমেলার পরিচালন কমিটির সভায় পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. মানিক সাহা এই আহ্বান জানান।সভায় উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক মিনারাণী সরকার, এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্যদেও পোদ্দার,ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বতন উপাচার্য অরুণোদয় সাহা।আগামী ২৪ মার্চ হাঁপানিয়ার আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হবে ৪১তম আগরতলা বইমেলা। মেলা চলবে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত।আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে বইমেলার সূচনা হয়েছিল।এরপর আগরতলা বইমেলা শিশু উদ্যান, উমাকান্ত একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজনের পর এখন হাঁপানিয়া মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাতে সহজেই বোঝা যায় বইমেলার কলেবর বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বইমেলার আয়োজনের সময়েই আগরতলায় জি- ২০বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ ওই বৈঠকে অংশ নেবেন। তাই রাজ্যের সুনাম ও ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে ৪১তম আগরতলা বইমেলার আয়োজন সফল করতে সবার প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। সভায় আলোচনা করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, জি-২০ বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ বইমেলায় আসবেন। তাদের আতিথেয়তায় যেন কোনও ত্রুটি না হয় তার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সভার শুরুতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান,এবারও বইমেলায় বিভিন্ন বিষয়ে ১৭টি পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বইমেলায় আসা যাওয়া করার জন্য অন্যান্য বছরের মতো নির্দিষ্ট স্থান থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জানান, গত বছর বইমেলায় ১৬২টি স্টল ছিল।এবছর স্টলের সংখ্যা আরও বাড়বে।